
জ়ি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: বাংলাদেশের ভবিষ্যত কী তা দেশের নেতারাও বলতে পারবেন না। নির্বাচনের জোরদার কোনও প্রস্তুতি নেই। আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নেই। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। বাড়ছে পাকিস্তান প্রীতি। সবেমিলিয়ে মহম্মদ ইউনূস সরকারের এই কমাসের প্রাপ্তি বলতে তেমন কিছুই নেই। জল্পনা তৈরি হচ্ছে দেশের হাল ধরতে বাংলাদেশ সেনাকে চাইছে সাধারণ মানুষ।
এমন ডামাডোলের মধ্যেই সম্প্রতি ছাত্রদের তৈরি করা জাতীয় নাগরিক পার্টির দুই প্রধান সদস্য হাসনাত আবদুল্লা ও সারজিস আলমের সঙ্গে সেনা প্রধানের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সেনা প্রধান জানিয়ে দেন দেশে নির্বাচন করতে চাইলে একটি রিফাইন্ড আওয়ামী লীদের প্রয়োজন। হাসনাত আবদুল্লা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন সেনাপ্রধান রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নিয়ে চাপ দিয়েছিলেন। তবে তার সঙ্গী সারজিসই বলছেন সেনা প্রধান যা বলেছিলেন তাকে চাপ দেওয়া বলা যায় না।
হাসনাতের বক্তব্য হল সেনাপ্রধানকে তাঁরা বলেছিলেন যে দল ক্ষমা চায়নি, অপরাধ স্বীকার করেনি। সেই দলকে কীভাবে ক্ষমা করে দেবেন। ওই কথা শুনে সেনাপ্রধান রেগে যান এবং মুখের উপরে বলে দেন, তোমরা কিস্সু জানো না। তোমাদের কোনও জেঞান নেই, পরিপক্কতা নেই। আমরা এই কাজ করছি চল্লিশ বছর। তোমাদের বয়সের থেকেও বেশি।
অন্যদিকে, সারজিসের বক্তব্য হল সেনাপ্রধান রেগে গিয়ে ওই কথা বলেছেন বলে আমার মনে হয় না। বয়সে তুলনামূলক বেশ সিনিয়র কেউ জুনিয়রদের যেভাবে অভিজ্ঞতার ভারের কথা ব্যক্ত করে সেই টোন এবং এক্সপ্রেশনে বলেছেন। আমার জায়গা থেকে আমি সেদিনের বক্তব্যকে সরাসরি ‘প্রস্তাব’ দেওয়ার আঙ্গিকে দেখি না বরং ‘সরাসরি অভিমত প্রকাশের’ মতো করে দেখি। ‘অভিমত প্রকাশ’ এবং ‘প্রস্তাব দেওয়া’ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যদিও পূর্বের তুলনায় সেদিন সেনাপ্রধান অনেকটা স্ট্রেইট-ফরওয়ার্ড ভাষায় কথা বলছিলেন।
এদিকে, হাসনাতের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ গঠনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চাপ দেওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেনাবাহিনী সদর দপ্তর। সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের এক প্রতিবেদনে এ প্রতিক্রিয়া জানানোর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে সেনাসদরকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয়।
(Feed Source: zeenews.com)