রিসাইক্লিংয়ের মতো শিল্পের ক্ষেত্রেও মানতে হবে শিশুর অধিকার, দাবি তুলল হুলাডেক

রিসাইক্লিংয়ের মতো শিল্পের ক্ষেত্রেও মানতে হবে শিশুর অধিকার, দাবি তুলল হুলাডেক

রণবীর ভট্টাচার্য

১২ জুন ছিল আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম বিরোধী দিবস। এই উপলক্ষ্যে দেশ জুড়ে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে হুলাডেক রিসাইক্লিং, কলকাতা কর্পোরেশন এবং ক্রাই ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান যেখানে পুনর্নবীকরণযোগ্য বর্জ্য এবং শিশুশ্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন ডঃ তপন কুমার গুপ্ত, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, সুকুমার বর, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, কলকাতা কর্পোরেশন, ক্রাই ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে অসীম ঘোষ। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রাকেশ কুমার তেওয়ারি, টিচার ইন চার্জ, তারাতলার হরিজন বিদ্যা মন্দির স্কুল এবং হুলাডেক রিসাইক্লিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিএমডি নন্দন বল এবং স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা। ৬০ জন শিশু তাদের অভিভাবকদের সাথে যোগ দিয়েছিল এই অনুষ্ঠানে। তাদের জন্য অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।

বিভিন্ন তথ্যের সূত্রে দেখা গিয়েছে যে ই-বর্জ্য রিসাইক্লিং এবং শিশুর স্বাস্থ্যের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-র মতে ১৮ মিলিয়ন শিশু এবং ১২.৯ মিলিয়ন মহিলার জীবন বিপন্ন বিশ্ব জুড়ে এই ই-বর্জ্য রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিতে। ভারতের মতো দেশে পরিস্থিতি আশাবাদী হওয়ার মতো নয়। প্রায় ৫ লক্ষ শিশু সরাসরি ভাবে এই অসংগঠিত ক্ষেত্রে যুক্ত। বলাই বাহুল্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই শিল্প অনেকটাই অসংগঠিত, তাই আইনকানুন মানা বা অধিকারের দিকটি অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয়ে থাকে না। ১০-১৪ বছরের কিশোর কিশোরীরা অনেকেই তাদের শৈশবের অধিকার থেকে বঞ্চিত। শুধু তাই নয়, রিসাইক্লিং ওয়ার্কশপগুলোতে অনেক সময়েই মানবাধিকারের দিকটি খেয়াল করা হয় না। এই সংবেদনশীল বিষয়টি তুলে ধরা হয় এই অনুষ্ঠানে।

‘আমরা দেখেছি যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বর্জ্য আমাদের দেশে শিশুদের অর্থনীতিক ও সামাজিক ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করে থাকে। আমরা সঠিক বর্জ্য নিষ্কাশনের দিকটি নিয়ে মানুষের মধ্যে এবং অবশ্যই বৃহত্তর ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য কাজ করে চলেছি। আমরা বিশ্বাস করি যদি সমাজের সকল সিদ্ধান্তপ্রণেতারা এই বিষয়ে একমত হয়ে জনমত তৈরি করেন, তাহলে সামনের দিনে শিশুদের সুন্দর সু স্বাস্থ্যের ভবিষৎ উপহার দিতে পারব,’ জানান হুলাডেক রিসাইক্লিং এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিএমডি নন্দন বল।

সমগ্র অনুষ্ঠানে শিশুদের যোগদান ছিল চোখে পড়ার মতো।

(Source: hindustantimes.com)