জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করার জন্য পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (Former Prime Minister of Pakistan)এবং পাকিস্তান ক্রিকেট দলের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানকে (Imran Khan) নোবেল শান্তি পুরষ্কারের (Noble Peace Prize) জন্য মনোনীত করা হয়েছে। নরওয়ের রাজনৈতিক দল পার্টিয়েট সেন্ট্রামের সহযোগিতায় ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স (PWA) এর সদস্যরা এই ঘোষণা করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ‘পার্টিয়েট সেন্ট্রাম’ এই ঘোষণা করেছে।

এই নোবেল শান্তি পুরষ্কার জন্য দ্বিতীয়বার মনোনয়ন পেলেন ইমরান খান। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর চেষ্টার ফলস্বরূপ, ২০১৯ সালে তাঁকে এর আগে মনোনীত করা হয়েছিল। নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত  জটিল। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি প্রতি বছর একগুচ্ছ মনোনয়ন পর্যালোচনা করে। চূড়ান্ত নির্বাচন প্রক্রিয়াটি আট মাস ধরে চলে।

৭২ বছর বয়সী ইমরান খান কেবল একজন প্রাক্তন রাজনৈতিক নেতাই নন, বরং পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতাও। রাজনৈতিক সংগ্রাম সত্ত্বেও, ইমরান পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে দীর্ঘদিন সওয়াল করেছেন।

ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে জেলবন্দী। জানুয়ারিতে তিনি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির অভিযোগে ১৪ বছরের কারাদণ্ড পান। খান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি রাজনৈতিক বলে অভিযোগ করেন।

নোবেল শান্তি পুরষ্কারের মনোনয়ন খানকে এক অনন্য জায়গা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁর আইনি ঝামেলা এবং মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক সমর্থক হিসেবে তার ভূমিকার আরও প্রগাঢ় করবে।

ইমরান খানের মনোনয়নের ঘোষণা এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নোবেল কমিটির সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকায়, এই মনোনয়নের ফলাফল এখনও জানা বাকি। তবুও, নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য ইমরান খানের মনোনয়ন তাঁর মানবাধিকারের পক্ষে দীর্ঘদিন সওয়ালকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।

(Feed Source: zeenews.com)