Karan Oberoi Rape Case: করণ ওবেরয় ধর্ষণ মামলা! মহাবিপাকে পূজা বেদী! রয়েছে আরও তারকার নাম? কড়া আদালত…

Karan Oberoi Rape Case: করণ ওবেরয় ধর্ষণ মামলা! মহাবিপাকে পূজা বেদী! রয়েছে আরও তারকার নাম? কড়া আদালত…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০১৯ সালে অভিনেতা করণ ওবেরয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্ত পূজা বেদী এবং আরও সাতজনের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ্যে আনার অভিযোগ করে আন্ধেরির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নির্যাতিতা আরেকটি মামলা দায়ের করেন। আদালত তার রায়ে বলেছে যে মামলাটি ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২৮-এ ধারা লঙ্ঘন করেছে যেখানে বলা হয়েছে ধর্ষিতা বা নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। মুম্বইয়ের দায়রা আদালত জানিয়েছে ধর্ষণের মানলায় অভিযুক্ত বিবেক ওবেরয়ের গ্রেফতারের পরই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল।

পূজা বেদী, অভিনেত্রী অন্বেষী জৈন, চৈতন্য ভোঁসলে, ভারকে পাটানি, গুরবানী ওবেরয়, শেরিন ভার্গাসে, অভিনেতা সুধাংশু পান্ডে এবং অ্যাডভোকেট দীনেশ তিওয়ারির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে আদালত। প্রাথমিকভাবে অপরাধে অভিযুক্তের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যদিও ২০২২ সালের এপ্রিলে, অভিযুক্তরা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়রা আদালতে আবেদন করে। আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়।

অভিযোগকারীর অভিযোগ, করণ ওবেরয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়েরের পরই, পূজা বেদীর তাঁর বাড়িতে একটি সংবাদ সম্মেলন করে, যেখানে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করা হয়। তিনি আন্ধেরির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যান এবং ২০১৯ সালের জুন মাসে তাঁদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন।

শুরুতেই, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুলিশকে অভিযোগকারীর আনা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। পুলিশ তদন্তে জানা যায় যে, ৫ মে, ২০১৯ পূজা বেদী একটি সংবাদ সম্মেলন করেন যেখানে দলের সদস্যরা অভিযোগকারীর নাম এবং অন্যান্য সংবেদনশীল, গোপনীয় ও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে বলে অভিযোগ করা হয় যা যৌন নির্যাতার আইনি সুরক্ষা উলঙ্ঘন করে।

পুলিশ আরও উল্লেখ করেছে যে সংবাদ সম্মেলনের ভিডিওটি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছিল এবং অনলাইনেও এখলও দেখা যায়। ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ এ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই দলের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় – যা ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২৮এ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

(Feed Source: zeenews.com)