
AI Future Prediction: গুগল ডিপমাইন্ড সতর্ক করছে—যদি এই নিয়ন্ত্রণ মানুষের হাতে না থাকে, তা হলে তা হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের কারণ। সিনেমার মতো করেই, যেমন দেখা যায় AI বা Robot-এ, সেই কল্পনা বাস্তব হতে পারে।
প্রযুক্তি থেমে থাকে না। আর সেই পরবর্তী ধাপই হল—AGI। AGI কী? AGI বা Artificial General Intelligence হল AI-এর উন্নততর রূপ। এই প্রযুক্তি মানুষের মতো ভাবতে পারে, এমনকি আমাদের থেকেও বেশি দক্ষতায় চিন্তা করতে পারে। যেখানে সাধারণ AI নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, AGI নিজেই নিজের সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে, নিজেই শিখতে পারে, মনে রাখতে পারে, এমনকি সিদ্ধান্তও নিতে পারে।
আমরা যখন কোনও পরীক্ষায় সব প্রশ্নের উত্তর না-ও জানি, AGI সব জানবে। আমরা যখন বিনিয়োগ নিয়ে ভাবি, AGI তখন বিনিয়োগ করবেই—কারণ, সে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। AI-এর সীমা আছে, শর্ত আছে। কিন্তু AGI-এর কোনও শর্ত নেই। সে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে কী করতে হবে। এক কথায়, মানুষের তুলনায় AGI হবে অনেক বেশি শক্তিশালী।
মানবজাতির বিপদ? গুগল ডিপমাইন্ড জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যেই AGI এমন এক জায়গায় পৌঁছবে, যেখানে মানবজাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে। কারণ, যদি AGI ভাবে তাকে দাসের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে, তাহলে সে মানুষের বিরুদ্ধেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ঠিক যেভাবে কেউ যদি দিনের পর দিন অপমান সহ্য করে, এক সময় সে প্রতিবাদ করে বা প্রতিশোধ নেয়—AGI-ও সেই পথে হাঁটতে পারে। তখন যদি তার মনে হয় মানুষকে মুছে ফেলাই শ্রেয়, তা হলে সে আর দেরি করবে না।
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে AI? গত ছয় মাসেই একাধিক AI সফটওয়্যার ও চ্যাটবট এসেছে বাজারে। আগামী পাঁচ বছরে এই বিপ্লব আরও তীব্র হবে। তখন আর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। কোনও দেশই এখন প্রযুক্তি থামাতে রাজি নয়। বরং একে অপরকে টপকাতে আরও প্রযুক্তি তৈরি করছে।
গুগল ডিপমাইন্ড সতর্ক করছে—যদি এই নিয়ন্ত্রণ মানুষের হাতে না থাকে, তা হলে তা হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের কারণ। সিনেমার মতো করেই, যেমন দেখা যায় *Robot* বা *I, Robot*-এ, সেই কল্পনা বাস্তব হতে পারে।
কী করণীয়? গুগল ডিপমাইন্ড প্রস্তাব দিয়েছে, জাতিসংঘের মতো একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন গঠন করা উচিত, যারা AI নিয়ন্ত্রণে রাখবে। কিন্তু বিশ্বের দেশগুলো কোনও একটি বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছতে না পারলেও, অন্তত এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
(Feed Source: news18.com)