
এই অনুষ্ঠানে ৪০০-রও বেশি শিল্প নেতৃত্ব একত্রিত হয়েছেন অটোমোবাইল সংক্রান্ত খুচরো ব্যবসায়ের অগ্রগতির দিকগুলি আলোচনা করতে। উদ্বোধনী অধিবেশনটি পরিচালিত হয় বিশিষ্ট অতিথিদের দ্বারা, যাদের মধ্যে ছিলেন শ্রী শ্রবণ কুমার, মুখ্য কমিশনার, কাস্টমস ও জিএসটি বিভাগ, অর্থ মন্ত্রক, ভারত সরকার এবং শ্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, মাননীয় মন্ত্রি, পরিবহন বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন FADA-এর শীর্ষ নেতৃত্বগণ, যাঁদের মধ্যে ছিলেন শ্রী রোহিত চৌধুরী (চেয়ারপার্সন FADA পশ্চিমবঙ্গ); শ্রী সি এস বিজ্ঞানেশ্বর (প্রেসিডেন্ট, FADA); শ্রী প্রদীপ আগরওয়াল (কোষাধ্যক্ষ, FADA এবং চেয়ারপার্সন FADA টু-হুইলার ভার্টিক্যাল); এবং শ্রী সাহর্ষ দামানি (CEO, FADA)।
এই উপলক্ষে শ্রী সি এস বিজ্ঞানেশ্বর (প্রেসিডেন্ট, FADA) বলেন, “আমরা গর্বিত যে এই অনুষ্ঠানটি কলকাতায় আয়োজিত হয়েছে, যেখানে ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ব্যবসায় কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করে আমরা আরও একটি সংস্করণ নিয়ে এসেছি, যা পশ্চিমবঙ্গের অটোমোবাইল শিল্পের গতিশীল উন্নয়নকে তুলে ধরছে। ‘এগিয়ে বাংলা: বেঙ্গল সার্জেস অ্যাহেড’ থিমটি আমাদের উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব ও আধুনিক খুচরো ব্যবসায়িক কৌশলের প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।”
ব্যবসায় বেঙ্গল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে FADA পশ্চিমবঙ্গ স্টেট চেয়ারপার্সন, শ্রী রোহিত চৌধুরী বলেন, ‘ব্যবসায় বেঙ্গল ২০২৫ পশ্চিমবঙ্গের অটোমোবাইল খুচরো ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই কনক্লেভ কেবলমাত্র একটি আলোচনা করার প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং এটি ডিলারদের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও সরঞ্জাম প্রদান করবে।’
FADA India দেশের ১৫,০০০-এরও বেশি অটোমোবাইল ডিলারশিপের প্রতিনিধিত্ব করে, যার অধীনে ৩০,০০০-এরও বেশি ডিলারশিপ আউটলেট রয়েছে। এছাড়াও, এটি বিভিন্ন আঞ্চলিক, রাজ্য এবং শহর-ভিত্তিক অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। এই খাতের মাধ্যমে ডিলারশিপ এবং পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পান।
একইসঙ্গে, FADA India শিল্প ও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সাথে সক্রিয়ভাবে সংযোগ স্থাপন করে অটোমোবাইল নীতি, কর ব্যবস্থাপনা, যানবাহন নিবন্ধন প্রক্রিয়া, সড়ক নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে মতামত ও পরামর্শ প্রদান করে, যাতে ভারতের অটোমোবাইল খুচরা বাণিজ্যের ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে ওঠে।