
পাকিস্তানের মাটিতে রাম মন্দির
অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার অভিষেক ঘিরে আবেগে ভেসেছিল সারা দেশের মানুষ বিদেশ থেকে সারাবছরই এখন অযোধ্যায় আনাগোনা লেগে থাকে পর্যটকদের। কিন্তু ইচ্ছে হলেই তো বিদেশে-বিভুঁইয়ে এসে দেব-দর্শন করা যায় না। নিয়ম-কানুনের অনেক বেড়া। বিশেষ করে পাকিস্তানে থাকা হিন্দুদের কাছে তো বিষয়টা আরও কঠিন। তাই তাঁরা যান, পাকিস্তানের মাটিতেই তৈরি হোক রাম মন্দির। এই উদ্যোগে হাত লাগিয়েছেন পাকিস্তানের বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
পড়শি দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা দিন-রাত পরিশ্রম করে তৈরি করছেন এই মন্দির। পাকিস্তানের থারপারকার জেলার একটি গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এই উদ্যোগ নিয়েছেন। সেখানে তৈরি করা শুরু হয়েছে রাম মন্দির । এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন মন্দিরের পুরোহিত থারু রাম।
ভারত থেকে পুরোহিত নিয়ে গিয়েছেন এই জিনিস
পাকিস্তানের থারপারকারে নির্মিত রাম মন্দির কোনও সরকারি পরিকল্পনার অংশ নয়। এটি তৈরিতে রাজনৈতিক দলগুলির কোনও সমর্থনও নেই। আছে কেবল মানুষের আবেগ আর জেদ।মন্দিরের পুরোহিত থারু রাম এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন একটি ভ্লগে। থারু রাম বলেন, তিনি ভারতে এসেছিলেন বেড়াতে। এ দেশ থেকেই তিনি গঙ্গাজল নিয়ে ফিরেছেন পাকিস্তানে। তিনি ভ্লগারকে বলেন, ‘আমি মা গঙ্গার কাছে কিছু চাইনি। আমি শুধু রাম মন্দির চেয়েছি। আমি সম্পদ চাই না। আমরা রাম মন্দির চাই।’
কী বলছেন পাকিস্তানের মানুষ
থারু রাম বলেন, মন্দিরের নির্মাণ কাজ ৬ মাস আগে শুরু হয়েছিল। মূল মন্দিরের কাজ শেষ হয়েছে। কেবল প্রতিমার অভিষেকের অপেক্ষা। মন্দির প্রাঙ্গণে সৎসঙ্গ মঞ্চ, সীমানা প্রাচীর এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নির্মাণের কাজ চলছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এটি তৈরিতে সাহায্য পাঠাচ্ছেন। কেউ ইট দিয়ে সাহায্য করেছেন, কেউ সিমেন্ট দিয়েছিন, আবার কেউ মিস্ত্রিদের মজুরি দিয়েছেন। এই মন্দিরটি কেবল একটি ধর্মীয় স্থানই নয় বরং হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐক্য ও অস্তিত্বের পরিচয়ও হয়ে উঠেছে। জানা গিয়েছে, এখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরাও এই মন্দির নির্মাণে কোনও আপত্তি জানাচ্ছেন না, বরং কিছু লোক এর নির্মাণে সাহায্য করছেন।
পাকিস্তানের আরও একটি রাম মন্দির
পাকিস্তানের ইতিহাস ঘাঁটলে আরও একটি রাম মন্দিরের কথা জানা যায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এই রাম মন্দির রাম কুণ্ড মন্দির নামেও পরিচিত ছিল। পাকিস্তানের হিন্দুরা বিশ্বাস করেন রাম তাঁর ১৪ বছর বনবাসকালে এই অঞ্চলে বসবাস করেছিলেন । মন্দিরটি ১৬ শতকে প্রথম মান সিংহ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল । তবে এখন আর সেখানে কোনও মূর্তি নেই বলেই জানা যায়।
(Feed Source: abplive.com)