
অনেক সময় প্রথম প্রয়াসেই শিকে ছেঁড়ে না। ফলে বারংবার চালিয়ে যেতে হয় চেষ্টা। তাই আজকের প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করে নেব TNPSC বা তামিলনাড়ু পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে।
আসলে যাঁরা এই মুহূর্তে TNPSC-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে চাইছেন, তাঁরা অল্প সময়ের মধ্যে বা ছয় মাস সময়ের মধ্যে কীভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারেন এবং সফল হতে পারেন, সেই বিষয়টাই দেখে নেওয়া যাক। সংক্ষেপে বলা যেতে পারে যে, এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, সুচিন্তিত অধ্যয়ন এবং নিয়মানুবর্তিতা।
TNPSC পরীক্ষার ধরন বুঝতে হলে পরীক্ষার্থীকে বিগত চার থেকে পাঁচ বছরের TNPSC পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধ্যয়ন করতে হবে। আসলে এর থেকে পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে এবং কোন জায়গাটায় বেশি মনোযোগ দিতে হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
এখানেই শেষ নয়, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, তামিলের মতো বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকগুলিও একেবারে নখদর্পণে রাখা উচিত পরীক্ষার্থীদের। বিশেষ করে তামিল পাঠের ক্ষেত্রে – প্রতিটি প্রচ্ছদ, কবিতা, গদ্য এবং ব্যাকরণ সম্পূর্ণ রূপে পড়ে ফেলতে হবে। আর পরীক্ষার্থী যদি পাঠ্যপুস্তকগুলি ভাল ভাবে অধ্যয়ন করেন, তাহলে তিনি কোনও রকম সমস্যা ছাড়াই পরীক্ষার মুখোমুখি হতে পারবেন।
আবার পরীক্ষার্থীরা যখন একই সঙ্গে সমস্ত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবেন, তখন তাঁদের এমন ভাবে গোটা বিষয়টি পরিকল্পনা এবং অধ্যয়ন করা উচিত, যা মনে রাখা বা আত্মস্থ করা অত্যন্ত সহজ। আর এই কৌশলটাই পরীক্ষার সময় ব্যাপক সাহায্য করবে।
প্রতিদিন পড়াশোনার সময় কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা অথবা সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টা হওয়া উচিত। সকালের দিকটা নতুন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য রাখতে হবে। বিকেলের দিকে লেখার অনুশীলন করতে হবে এবং প্রশ্নোত্তর দেওয়া অভ্যাস করতে হবে। আর এত সময় ধরে যা যা পড়া হয়েছে, তা রাতে রিভিশন করতে হবে।
এছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে দৃঢ় সংকল্প বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লান্ত না হয়ে প্রতিদিন পরিকল্পনা করে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে একটি করে মক টেস্টও দিতে হবে।
(Feed Source: amarujala.com)