যৌবন ধরে রাখতে চান! এই ফেসিয়ালে আপনি ধরে রাখুন সৌন্দর্য্যের আগুন

যৌবন ধরে রাখতে চান! এই ফেসিয়ালে আপনি ধরে রাখুন সৌন্দর্য্যের আগুন

#কলকাতা: সেলুনে গেলে হাজার রকম ফেসিয়ালের লম্বা লিস্ট ধরিয়ে দেয়। তবে এই ধরনের ফেসিয়াল কতটা কার্যকর, ব্যবহার করা নিরাপদ কি না, এই সব প্রশ্ন ওঠে। তাই এর মৌলিক এবং ব্যবহৃত পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে রাখাটা জরুরি। অনুষ্ঠান বাড়ি হোক কিংবা স্বাভাবিক রূপচর্চা, বিভিন্ন স্কিনকেয়ার পণ্য ব্যবহার তো রয়েছেই, সঙ্গে যেটা করতেই হয় সেটা হল ফেসিয়াল।

মেডিকেল ফেসিয়াল হল প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সম্পাদিত একটি পদ্ধতি। এর লক্ষ্যই হল ত্বকের গভীরে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে মেরামত, পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল এবং ঝলমলে করে তোলা। মেডি ফেসিয়াল ত্বকের ধরন অনুযায়ী বেছে নেওয়া যায়। ত্বক এবং ত্বকের রোগ যেমন রোসেসিয়া, ব্রণ, দাগ, পিগমেন্টেশন, সূর্যের ক্ষতি, ফাইন লাইন, পিগমেন্টেশন এবং আরও অনেক কিছু মেডি ফেসিয়াল দিয়ে সমাধান করা সম্ভব।

সেলুন ফেসিয়াল এবং মেডিক্যাল ফেসিয়াল: সেলুনে ফেসিয়ালের পর চোখে মুখে একটা প্রশান্তির ভাব আসে, কিন্তু সেটা ক্ষণস্থায়ী। সবচেয়ে বড় কথা হল, এই ধরনের ফেসিয়াল তৈরিই হয়েছে শুধুমাত্র ত্বকের উপরের স্তরটাকে চকচকে করার জন্য। অর্থাৎ, ত্বকের ভিতরে গিয়ে তার যথাযথ যত্ন নেওয়ার ব্যাপার এতে নেই। তাছাড়া সেলুনে ব্যবহৃত জিনিসগুলো ভালো মানের কি না তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। অনেক সময় রাসায়নিক পণ্য ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরাও সেলুন ফেসিয়ালের থেকে মেডি ফেসিয়ালকেই এগিয়ে রাখছেন। তাঁদের মতে, ‘মেডিক্যাল ফেসিয়ালগুলি ত্বকের গভীরে গিয়ে কাজ করে। তাই এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। কিন্তু সেলুন ফেসিয়াল শুধু ত্বকের চেহারা পরিবর্তন করে দেয়। ত্বকের সমস্যা সমাধানে এদের কোনও ভূমিকা নেই’। তবে আজকের দিনেও মেডিক্যাল ফেসিয়াল সম্পর্কে অনেকেই বেশি কিছু জানেন না। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘তাঁদের কাছে এটা গুরুতর ত্বকের সমস্যাযুক্ত লোকেদের জন্য বিশেষ থেরাপি, যা ব্যয়বহুল’।

এলইডি থেরাপি– যাঁদের ত্বকে বার্ধ্যকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো ফুটে উঠছে তাঁদের জন্য এই চিকিৎসা। এই মেডি ফেসিয়ালে নীল এবং লাল এলইডি থেরাপি ব্যবহার করা হয়। এটা অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট হিসেবেও কাজ করে। ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য এলইডি থেরাপি খুব উপকারী।

পিলস– এটা সাধারণত ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করতে ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিক পিলসে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বা ফেনল ব্যবহার করা হয়। এটা ত্বকের গঠন উন্নত করতে, বলিরেখা ও ত্বকের বিবর্ণতা দূর করতে সাহায্য করে।

মেসোথেরাপি- সূক্ষ্ম ছুঁচের সাহায্যে ত্বকের ডার্মাল স্তরে ভিটামিন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এটা মুখের পুনরুজ্জীবন এবং ডার্মিস স্তর উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।

মাইক্রোডার্মাব্রেশন- উচ্চ প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। যন্ত্রের মুখে লাগানো হিরে বা স্ফটিকের কুচি দিয়ে মুখের মৃত ত্বকের স্তরকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

ডার্মাপেন বা ডার্মা রোলার- ডার্মাপেন বা ডার্মা রোলার উভয়ই মাইক্রো-নিডলিং এর একটি রূপ। ক্ষুদ্র জীবাণুমুক্ত সূচ ব্যবহার করে ত্বকে বার বার ছিদ্র করার মাধ্যমে প্লেটলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা বা সিরাম প্রয়োগ করা হয়। এটি মুখের পুনরুজ্জীবন এবং ত্বকের স্তরগুলির পুষ্টির জন্য দুর্দান্ত।

Published by:Debalina Datta

(Source: news18.com)