নেতিবাচক রেটিং বাদ দিয়ে দিচ্ছে ৫৮ শতাংশ ই-কমার্স সাইট, বলছে সমীক্ষা

নেতিবাচক রেটিং বাদ দিয়ে দিচ্ছে ৫৮ শতাংশ ই-কমার্স সাইট, বলছে সমীক্ষা

Business

oi-Souptik Banerjee

সরকারের কনজিউমার এফেয়ার ডিপার্টমেন্ট মে মাসেই বলেছিল যে জাল পর্যালোচনা রোধে একটি কাঠামো তৈরি করবে। অর্থাৎ এই যে এখন মোবাইলে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাজারও ই-কমার্স সাইট ঘুরে বেড়াচ্ছে তাঁদের প্রোডাক্ট কতটা ভালো তা জানার জন্য মানুষ রেটিং দেখেন। এবার মানুষ যেমন নম্বর দেবেন সেটাই হয়ে দাঁড়ায় ওই সংস্থার প্রোডাক্ট কতটা ভালো তার মাত্রা। কিন্তু সমীক্ষা বলছে সমস্যা এখানেই। দেখা হচ্ছে , মানুষ বলছে বেশিরভাগ সংস্থাই নাকি এই রেটিংয়ে গোঁজামিল দিয়ে দেয়। তাঁরা রেখে দেন শুধু ভালো রিমার্কগুলিকে।

নেতিবাচক রেটিং বাদ দিয়ে দিচ্ছে ৫৮ শতাংশ ই-কমার্স সাইট, বলছে সমীক্ষা

‘LocalCircles’-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে ৫৮ শতাংশ গ্রাহক বলেছেন যে ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলি তাদের নেতিবাচক রেটিং এবং পর্যালোচনা প্রকাশ করে না। লোকাল সার্কেল জানিয়েছে যে সমীক্ষাটি ২৮৪ টি ভারতীয় জেলায় ৩৮ হাজারটিরও বেশি গ্রাহকদের কাছ থেকে ৬৯ হাজার, এরও বেশি প্রতিক্রিয়া নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

এটিতে দেখা গিয়েছে যে ৬৪ শতাংশ নাগরিক ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলিতে রেটিং এবং পর্যালোচনাগুলি পরীক্ষা করে। প্রায় ৬৫ শতাংশ পণ্য রেটিং ইতিবাচকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে করেন, সম্ভবত বিক্রেতারা তাদের পণ্যের জন্য মতামতকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ইঙ্গিত করে। মাত্র ১৮ শতাংশ রেটিং সঠিক বলে মনে করেছে।

২০১৯ সালে অনুরূপ একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ৬২ শতাংশ উপভোক্তা বেশিরভাগ পণ্যের জন্য রেটিং ইতিবাচক ভালো দিয়েছেন। মাত্র ১২ শতাংশ বলেছেন ওই রেটিং সঠিক। সামগ্রিক ভিত্তিতে, ৮০ শতাংশ গ্রাহক যারা ই-কমার্স সাইটে কেনাকাটা করেছেন তাদের গত ১২ মাসে এক বা একাধিক ঘটনা ঘটেছে যেখানে একটি উচ্চ রেটযুক্ত পণ্য তাদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি।

ই-কমার্স সাইট/অ্যাপগুলিতে একটি পণ্যের নিম্ন রেটিং বা একটি নেতিবাচক পর্যালোচনা পোস্ট করার সময় অভিজ্ঞতা কী হয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে, মাত্র ২৩ শতাংশ বলেছেন যে তাদের মতামত “যেমন আছে তা প্রকাশ করা হয়েছে।”

‘LocalCircle’ বলেছে অনেক উপভোক্তা, ক্ষেত্রে এমন হয়েছে যে একটি পন্য কেনার পর দেখেছেন তাঁরা যে জিনিসটি চেয়েছেন সেটা পাননি, তখন সেটা ফেরত দিতে চেয়েছেন কিন্তু সেই ব্যবস্থা নেই বলে দেখা গিয়েছে, কিন্তু এই যে অসন্তোষ তৈরি হল তা শুধুমাত্র তাঁদের রেটিং এবং কমেন্ট করেই খান্ত থাকতে হয়।

ভারতে প্রতি ১০-য়ে ৯ জনের দাবি কর্মক্ষেত্রে আবেগ ভাগ করলে কাজের গতি বাড়ে, রিপোর্ট করোনা পরবর্তী সমীক্ষায় ভারতে প্রতি ১০-য়ে ৯ জনের দাবি কর্মক্ষেত্রে আবেগ ভাগ করলে কাজের গতি বাড়ে, রিপোর্ট করোনা পরবর্তী সমীক্ষায়

গ্রাহকদের নেতিবাচক পর্যালোচনা বা রেটিং যে ই-কমার্স সাইটগুলিকে আটকে রেখেছিল তারা ২০১৯ থেকে ৪৭ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৫৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে৷ এও দেখা যাচ্ছে যে রিভিউ পাবলিশ হওয়া ২৭ শতাংশ থেকে কমে ২৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছে।

English summary

consumers saying that their is problem in the rating of e commerce site