আইপিএকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন হ্যাজেলউডরা? অজি বোলিং লাইন আপকে খোঁজা জনসনের

আইপিএকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন হ্যাজেলউডরা? অজি বোলিং লাইন আপকে খোঁজা জনসনের

সিডনি: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হার। ৫ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে প্রােটিয়া বাহিনী। প্রথমবার এই খেতাব ঘরে তুলল তেম্বা বাভুমার দল। অন্য়দিকে, অস্ট্রেলিয়ার হারের পর দলের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক প্রাক্তন অজি ক্রিকেটারই। এবার দলের বোলিং লাইন আপ ও বোলারদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রাক্তন অজি পেসার মিচেল জনসন।

অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইন আপের তিন পেসার প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড। একজন অভিজ্ঞ স্পিনার নাথান লিঁয়। কিন্তু এই চারজন মিলে ২৮১ রান ডিফেন্ড করতে পারেননি চতুর্থ ইনিংসে। বিশেষ করে জনসন সমালোচনা করলেন জশ হ্যাজেলউডের। দেশের জার্সিতে প্রস্তুতি না সেরে আইপিএলকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন অজি পেসার, এমনটাই মনে করেন জনসন। উল্লেখ্য, আরসিবির জার্সিতে গত আইপিএলে খেলেছিলেন হ্যাজেলউড। এমনকী আরসিবিকে ট্রফি জেতাতে তাঁর বিরাট অবদানওছিল।

অস্ট্রেলিয়ার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জনসন বলেছেন, ”আমাদের বোলিং লাইন আপের ‘বিগ ফোর’-কে নিয়ে সত্যিই ভাবতে হবে। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড, নাথায় লিঁয়কে গ্র্যান্টেড নেওয়া উচিৎ নয় কখনওই। হ্যাজেলউডের ফিটনেস নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে একটা চিন্তা রয়েইছে। এছাড়া আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর দেশে ফিরে আসলেও ফের আইপিএলকে প্রাধান্য দিয়ে ভারতে উড়ে গিয়েছিল ও। দেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রস্তুতি না সেরে আইপিএলকেই গুরুত্ব দিয়েছিল। লিঁয়কেও তৃতীয় দিনে একেবারেই ছন্দে মনে হয়নি।”

বিশ্বজয়ী প্রাক্তন বাঁহাতি পেসার আরও বলেন, ”যদি অভিজ্ঞ পেসাররা এভাবে শুধুমাত্র অ্য়াশেজের সময় ছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার জন্য বারবার ছুটে যায়, তাহলে তো ক্রিকেটারদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। এটা আমাদের ভাবতে হবে যে কীভাবে নিজেদের তরুণ প্রজন্মকে টেস্ট খেলানোর জন্য আগ্রহ বাড়াতে পারি আমরা। স্কট বোল্যান্ডের মত প্লেয়ারও রয়েছেন যে ৩৬ বছর বয়সে এখনও দেশের জার্সিতে সুযোগ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে।”

মারক্রামের প্রশংসায় সৌরভ

লর্ডসে প্রবল চাপের মুখে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন এইডেন মারক্রাম। টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে অধিনায়ক হিসাবে দেশকে ট্রফি দিতে পারেননি। ভারতের কাছে ২০২৪ সালের সেই বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্টে সহ অধিনায়ক হিসাবে দেশকে বিশ্বসেরা করতে ব্যাট হাতে অবদান রাখলেন সেই মারক্রাম। তাঁর ইনিংস দেখে মুগ্ধ সৌরভ। মারক্রামের ইনিংসকে টেস্টে বিশ্বের অন্যতম সেরা বলে বর্ণনা করলেন।

সৌরভের কথায়, ‘মারক্রামের ইনিংসটা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংস। ফাইনালের চাপ সামলে অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। চতুর্থ ইনিংসে এই ব্যাটিং করা সহজ নয়। মারাত্মক ইনিংস।’

(Feed Source: abplive.com)