
পর্দাপ্রথা অনুসরণ করে চলা সম্পূর্ণ তাঁর স্ত্রীর সিদ্ধান্ত। এমনটাই দাবি করেছেন জনপ্রিয় শিক্ষাবিদ এবং ইউটিউবার খান স্যার।ভারতের সবচেয়ে ভাইরাল এবং বিখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে একজন খান স্যার বর্তমানে তাঁর বিবাহের কারণে খবরের শিরোনামে রয়েছেন। তিনি ভারতের একজন সুপরিচিত শিক্ষক এবং ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটর যিনি শিক্ষার্থীদের কম খরচে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করার জন্য পরিচিত।গত মাসে বিহারে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিয়ে করেন এবং তারপর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনদের জন্য একটি জমকালো রিসেপশনের আয়োজন করেন তিনি। তবে, নেটিজেনরা খান স্যারের স্ত্রীর ঘোমটা-ঢাকা চেহারা নিয়ে সমালোচনা শুরু করলে উদযাপনের আনন্দ কিছুটা হলেও ম্লান হয়ে যায়।
সম্প্রতি সংবাদসংস্থায় এএনআই পডকাস্টে এই বিষয়ে খান স্যার বলেন, পর্দাপ্রথা অনুসরণ করে চলা সম্পূর্ণ তাঁর স্ত্রীর সিদ্ধান্ত। কারণ তিনি রিসেপশনে বাকিদের থেকে আলাদাভাবে নিজেকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন।তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানে ওড়নায় মুখ আড়াল করার সিদ্ধান্ত আমার স্ত্রীর ছিল। তিনি বলেছিলেন যে এটি তাঁর শৈশবের স্বপ্ন এবং প্রতিটি মেয়েই ঘোমটা পরে কনে হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তার মতে, বিয়ের অনুষ্ঠানে মানুষের ভিড়ে ওড়নায় মুখ আড়াল করার পরার কনের ভাবমূর্তি একটা স্বতন্ত্র পরিচয় পায়।’ তাঁর কথায়, ‘আমি স্ত্রীকে বলেছিলাম সে ওড়নায় মুখ ঢেকে রাখলে লোকেরা আমাকে দোষ দেবে। যার উত্তরে সে বলল, এটা তার ছোটবেলার স্বপ্ন। সে এভাবে সাজার জন্য একগুঁয়ে ছিল। ফলে অবশেষে আমি বললাম, ঠিক আছে।’ ইন্টারনেটে তীব্র সমালোচনা তাঁকে প্রভাবিত করেছে কিনা জানতে চাইলে, খান স্যার বলেন, ‘না, আমরা একটি গ্রাম থেকে এসেছি। আর আমরা গ্রাম ছেড়ে যেতে পারি না।’ (
গত ২ জুন বিহারের পাটনায় খান স্যার স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমবার জনসমক্ষে উপস্থিত হন। এই প্রথমবার মানুষ কনেকে দেখার সুযোগ পান। কনের নাম এ এস খান। কিন্তু স্ত্রীর মুখের বেশিরভাগ অংশ লাল ওড়না দিয়ে ঢাকা ছিল।রিসেপশনের সময় কনের পরনে একটি লাল লেহেঙ্গা, একটি সবুজ রঙের দোপাট্টা ছিল। অন্য একটি লাল দোপাট্টা দিয়ে তাঁর মুখ ঢেকে রাখা হয়েছিল। তবে, তাঁর মায়াবী হাসি ঘোমটার আড়ালেও সকলের চোখে পড়েছে। যা নেটিজেনদের মন জয় করে নিয়েছে।জানা গেছে, এ এস খান বিহারের সিওয়ানের বাসিন্দা এবং তাঁর স্বামীর মতোই উচ্চশিক্ষিত। তিনি ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (আইএসসিই) সার্টিফাইড স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।
পাটনায় পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন খান স্যর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী, বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব, শিক্ষামন্ত্রী সুনীল কুমার, শিল্প ও পর্যটনমন্ত্রী নীতিশ মিশ্র প্রমুখ।
(Feed Source: hindustantimes.com)
