খুনের পর বাড়ি গিয়ে পরিবারকে সান্ত্বনাও দিয়েছিলেন অভিযুক্ত, জমি ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার ২

খুনের পর বাড়ি গিয়ে পরিবারকে সান্ত্বনাও দিয়েছিলেন অভিযুক্ত, জমি ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার ২

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: খুনের পর এলাকা ছেড়ে পালাননি। শুধু তাই নয়, খুন হওয়া জমি ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সান্ত্বনাও দিয়েছিলেন তাঁর সহযোগী। দত্তপুকুর (Duttapukur Murder) খুনকাণ্ডে সেই সহযোগী-সহ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

দত্তপুকুরে (Duttapukur) জমি ব্যবসায়ী খুনে নতুন মোড়। এই ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। না জানিয়ে জমি বিক্রির সন্দেহেই কি খুন করা হয় জমি ব্যবসায়ীকে? প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই অনুমান পুলিশের। সোমবার ভরসন্ধেয় দত্তপুকুরের (Duttapukur) খেজুরতলায়, জমি ব্যবসায়ী মন্মথ মণ্ডলকে গুলি চালিয়ে খুন করা হয়।

এই ঘটনায় প্রথমে মানিক ব্যাপারী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর চণ্ডী ঘোষ ও আকাশ নায়েক নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় দু’টি বন্দুক ও কার্তুজ। পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তে জানা গেছে, নিহত জমি ব্যবসায়ী মন্মথ মণ্ডলের ব্যবসায়িক সহযোগী হলেন চণ্ডী ঘোষ।

২২ বিঘা জমি মন্মথ মণ্ডল তাঁকে না জানিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে, এই সন্দেহে তাঁকে খুন করার চক্রান্ত করেন চণ্ডী।বারাসাত পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পর এলাকা ছেড়ে পালাননি চণ্ডী। এমনকী নিহত মন্মথর বাড়িতে গিয়ে, তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনাও দিয়ে আসেন তিনি।

ভরসন্ধেয় দত্তপুকুরের খেজুরতলায় জমি ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। এফআইআরে নাম থাকা এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম মানিক ব্যাপারী। অন্যদিকে, নিহত মন্মথ মণ্ডলকে দলের নেতা বলে দাবি করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, খুনের নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের। যদিও ব্যবসায়িক শত্রুতাকেই খুনের কারণ বলে মনে করে মৃতের পরিবার।

পরিবারের দাবি, এদিন সন্ধেয় ফোন পেয়ে বেরিয়ে যান বছর ষাটের জমি ব্যবসায়ী মন্মথ মণ্ডল। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মাথায় ও কানের নীচে ঘাড়ে গুলি লাগে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।

নিহতকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করে, খুনের নেপথ্যে তৃণমূলের হাত থাকার অভিযোগ করে বিজেপি। যদিও তা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। খুনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবারও। দত্তপুকুরে জমি ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন। কিন্তু, খুনের কারণ কী? ব্যবসায়িক রেষারেষি? পুরনো শত্রুতা? না রাজনৈতিক বিবাদ? তা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিলই। স্থানীয় সূত্রে খবর মিলেছিল, নিহত ব্যবসায়ী এক সময় বিজেপি করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর বাড়িতে যান জেলা বিজেপির নেতারা। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। খুনের ঘটনা ঘিরেও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

(Source: abplive.com)