July 30 Restaurant: ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই ওয়ানাডে ভয়াবহ ধসে স্ত্রী-সন্তানসহ ১১ জনকে হারান নওফাল। এক বছর পর নিজের জীবন নতুন করে গড়েন। স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে খুললেন ‘জুলাই ৩০’ নামের রেস্তোরাঁ। এই গল্প সাহস, বেদনা ও নতুন জীবনের…
ভয়ঙ্কর ধসে মুছে গিয়েছিল গোটা পরিবার…! স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরেই রেস্তোরাঁর নাম ‘জুলাই ৩০’ রাখলেন ব্যক্তি…
ওয়ানাড: জীবনের সবকিছু হারিয়ে আবার নতুন করে শুরু করার নাম যদি সাহস হয়, তবে কেরলের ওয়ানাডের কালাথিংগাল নওফাল নিঃসন্দেহে সেই সাহসের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
২০২৪ সালের ৩০ জুলাই ভয়াবহ ধস পুরো ওয়ানাড জেলাকে তছনছ করে দেয়। নওফালের পরিবার থেকে একসাথে ১১ জনের মৃত্যু হয় – তার স্ত্রী, তিন সন্তানসহ পরিবারের বাকি সদস্যরা।
সেই সময় নওফাল ওমানে একটি হোটেলে শেফ হিসেবে কাজ করতেন। ফোনে খবর পেয়েই তিনি দেশে ফেরেন, আর ফিরেই দেখেন—তার জীবন পুরোপুরি ছারখার হয়ে গেছে। তার নিজের চোখে দেখতে হয় প্রিয়জনদের মৃতদেহ। ১১ জনের মধ্যে তিনি মাত্র ৫ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন, বাকি ছয়জনকে শনাক্ত করা হয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পরেও নওফাল ভেঙে পড়েননি। তিনি ঠিক করেছিলেন স্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন—কেরলে স্থায়ী হয়ে একটি রেস্তোরাঁ খুলবেন। সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি শুরু করেন ‘জুলাই ৩০’ নামের একটি রেস্তোরাঁ ও বেকারি। নাম নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিল, কিন্তু নওফালের যুক্তি ছিল—এই নাম মানুষকে সেই দিনের কথা মনে করাবে, যাতে তারা নম্র হয় এবং ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখে।
প্রথমদিকে তিনি একটি অস্থায়ী ঘরে থাকতেন। কাউন্সেলিং নেননি, কারণ বারবার সেই অতীত মনে করে কষ্ট বাড়াতে চাননি। ঠিক তখনই কেরল নদভাথুল মুজাহিদিন (KNM) তাঁকে ৭ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করে। এরপর ওমান-ভিত্তিক কেরল মুসলিম কালচারাল সেন্টার (KMCC) তার জন্য জমি কিনে একটি বাড়ি তৈরি করে দেয়।
এই নতুন অধ্যায়ের শুরুতে নওফাল বিয়ে করেন সফনাকে। একদিকে রেস্তোরাঁ, অন্যদিকে নতুন জীবন—নওফালের এই গল্প শুধুই পুনর্জন্মের নয়, এটা এক গভীর ভালোবাসা আর অদম্য মানসিকতার গল্প।
(Feed Source: news18.com)