Airline Safety Tips: প্লেনে ঢোকার সময় আড়চোখে আপনার জুতো দেখেন এয়ারহোস্টেসরা! কেন? না জানলে জানুন…

Airline Safety Tips: প্লেনে ঢোকার সময় আড়চোখে আপনার জুতো দেখেন এয়ারহোস্টেসরা! কেন? না জানলে জানুন…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্লেনে (Air Plane) চড়েছেন অথচ এই বিষয়টাই কখনও লক্ষ্য করেননি। কোনওদিন দেখেছেন বিমানে ওঠার সময়ে এয়ার হোস্টেসরা (Air Hostess) আপনার মুখের দিকে দেখুক কি না দেখুক জুতোর দিকে ঠিক তাকায়। কিন্তু কেন? তার তো নির্দিষ্ট একটা কারণ থাকবে। নিশ্চয়ই আপনাকে বিচার করতে এ কাজ করেন না তারা। যদিও এই বিষয়টি ছোট বা তুচ্ছ বলে মনে হতে পারে, তবে এটা নিরাপত্তা প্রোটোকল।

কোনও দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এবং তাদের দ্রুত বিচার করতে হয় যাত্রীরা জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত কিনা। আপনি কী ধরনের জুতো পরেছেন, সেটাই জরুরি পরিস্থিতিতে আপনার চলাচল সহজতর বা আরও জটিল করে তুলতে পারে। যখন কোনও বিমান থেকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তখন প্রতিটি সেকেন্ড অত্যন্ত মূল্যবান।

ভুল জুতো যেমন ভারী বুট, স্টিলেটো হিল, স্যান্ডেল চলাফেরায় ধীরতা আনতে পারে, যাত্রীদের পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে, কিংবা অন্যদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর থেকেও খারাপ হল, কিছু জুতোর কারণে নিরাপত্তা সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে এটা প্রযোজ্য হয় ইভাকুয়েশন স্লাইডের ক্ষেত্রে—এই ফোলানো স্লাইডগুলি জরুরি সময়ে বিমানের দ্রুত নির্গমন নিশ্চিত করে। পাতলা হিল বা জুতোর নিচের ধারালো বস্তু এগুলোতে ছিদ্র করে দিতে পারে। এই কারণেই নিরাপত্তা নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়, জরুরি অবস্থায় উচ্চ হিল পরা যাবে না।

নিরাপত্তার পাশাপাশি, দীর্ঘ সময়ের বিমানে যাত্রার সময় যাত্রীদের স্বাস্থ্যেও জুতোর প্রভাব পড়ে। বিমানের কেবিনের চাপ মাটির চাপের থেকে আলাদা, যা কিছু রক্ত সঞ্চালন সংক্রান্ত সমস্যা—যেমন ভেনাস থ্রম্বোসিস—বাড়িয়ে তুলতে পারে। খুব টাইট বা অস্বস্তিকর জুতো পরলে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। তাই কিছু কেবিন ক্রু সুপারিশ করেন এমন জুতো পরতে, যা আরামদায়ক, ঢিলেঢালা এবং চলাফেরা বা রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি করে না। স্নিকার্স বা অ্যাথলেটিক জুতোকে প্রায়শই আদর্শ বিকল্প হিসেবে ধরা হয়।

সবশেষে, আরেকটি প্রায়ই উপেক্ষিত বিষয় হল স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিন। অনেক যাত্রী বিশেষ করে স্যান্ডেল বা ফ্লিপ-ফ্লপ পরা অবস্থায় বিমানে জুতো খুলে ফেলেন। কিন্তু বিমানে বিশেষ করে টয়লেটের দিকে খালি পায়ে হাঁটা সংক্রমিত বা নোংরা পৃষ্ঠের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি তৈরি করে। কেবিন ক্রুরা এসব আচরণ সম্পর্কে সচেতন থাকেন এবং সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে তারা লক্ষ্য রাখেন যেসব জুতো পরে যাত্রীরা খালি পায়ে হাঁটার সম্ভাবনা বেশি। এটি এক ধরনের সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ, যার মাধ্যমে প্রয়োজন হলে কাউকে সতর্ক করা বা পরামর্শ দেওয়া সম্ভব হয়।

(Feed Source: zeenews.com)