রথের দিন ঘরে বসে পান ভোগ-প্রসাদ। অনেকটা যেন দুয়ারে রথের ভোগ। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের অধীনস্থ কমপ্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ব্যবস্থা করল এই ভোগের প্রাসাদের৷ আজ থেকে আগামী ৩ তারিখ অবধি মিলবে এই রথযাত্রার প্রাসাদ। যে স্পেশাল মেনু তৈরি করা হয়েছে তা হল, খিচুড়ি, উড়িষ্যার লাবড়া বা সান্তুলা, পাঁপড় ভাজা, চাটনি, এক পিস ছানা ভাজা, এক পিস রসাবলী, এক পিস গজা। ২২৫ টাকা দিলেই মিলবে এই খাবার। তবে খাবার অর্ডার দিতে দুপুর বারোটার মধ্যে। ডিনার হিসাবেই মিলবে খাবার। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের অধীনস্থ কমপ্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন নাম্বারে ফোন করেই খাবার অর্ডার দেওয়া যাবে।
ইসকনের মেগা রথযাত্রায় নিজে হাতে আরতি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার মিন্টো পার্কের অ্যালবার্ট রোডের মন্দির থেকে ইসকনের রথযাত্রার উদ্বোধনও করেন মুখ্যমন্ত্রী। রথের রশি টেনে আট দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয় তাঁর হাতেই। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, ” ইসকনের রথযাত্রায় বহু ভক্তের সমাগম হয়েছে। পুরির জগন্নাথ যাত্রার কথা সবাই জানি। কিন্তু বাংলাতেও অনেক মহাসমারোহে রথযাত্রা পালিত হয়। নবদ্বীপ ধামে ইসকন শহর তৈরি হচ্ছে। জগন্নাথ প্রভুর কাছে সকলের মঙ্গল কামনা করি, দেশের মঙ্গল কামনা করি।”
গত বছর কলকাতা ইসকনের রথযাত্রার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ ছিল। করোনার কারণে কোনও অনুষ্ঠান করা যায়নি। এ বার সেই উৎসব হবে। আমেরিকা, রাশিয়া, লন্ডন, সিঙ্গাপুর-সহ দেড়শটি দেশ থেকে ইসকনের ভক্তেরা আসবেন ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা উৎসবে সামিল হতে। কলকাতা ইসকন রথযাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে। ২০২১ সাল ছিল সুবর্ণজয়ন্তী। সেই উৎসব ২০২২ সালে ধুমধামের সঙ্গে পালিত হবে। ১ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত মাসির বাড়ি তৈরি হবে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে।