‘কাউকে হেয় কোরো না’, মেয়েকে যেভাবে শেখালেন মা… ভিডিও দেখে আপ্লুত নেটদুনিয়া

‘কাউকে হেয় কোরো না’, মেয়েকে যেভাবে শেখালেন মা… ভিডিও দেখে আপ্লুত নেটদুনিয়া

জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নৈতিকতা অবশ্যই শৈশবকালে শেখা উচিত। যাতে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে মাথায় ঢুকে যায় ও আগামীদিনে কাজে লাগে। সন্তানকে এই রকমই মূল্যবোধ দিতে এক মা অভিনব পন্থা নিয়েছেন। সেই ভিডিও ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাহেরা নামের এক মহিলা তাঁর মেয়েকে কাগজ ব্যবহার করে কাউকে হেয় না করার, খারাপ কথা না বলার (Bullying) শিক্ষা দিচ্ছেন। এটা সম্পর্কে আরও জানতে ভাইরাল ভিডিওটি দেখতেই হবে।

ভাইরাল ভিডিওটি গত বছর ইনস্টাগ্রামে (Instagram) পোস্ট করেছিলেন তাহেরা (Tahera)। আদতে পাকিস্তানের নাগরিক তাহেরা থাকেন আমেরিকায়। সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে তিনি কাগজ ব্যবহার করে তাঁর বাচ্চাকে জীবনের কিছু সাধারণ অথচ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখাচ্ছেন। তিনি তাঁর মেয়েকে কাগজটি দেখিয়ে কয়েকটি অপমানজনক কথা বলতে বলেছিলেন। মেয়েটির প্রতিটি বাক্যের শেষে মহিলা কাগজটিকে একটু একটু করে মুড়ে ফেলতে থাকেন। তার পর তিনি কাগজটিকে আগের আকারে ফিরিয়ে আনেন এবং তাঁর মেয়েকে এর জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন। ক্ষমা চাওয়ার পরে কাগজটি দেখিয়ে মেয়েকে তাহেরা বলেন, “তুমি কি কাগজটিকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবে”? উত্তরে মেয়ে না বলে। তখন মহিলা মেয়েকে বলেন, “কখনও কাউকে হেয় করবে না, কাউকে খারাপ কথা বলবে না।” মায়ের কথা শুনে মেয়েও জানায় যে সে কখনও এগুলো করবে না।

ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি পোস্ট করে তাহেরা ক্যাপশনে লিখেছেন, “বাচ্চারা যখন ছোট থাকে, তখন তাদের শেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রায়শই চিন্তা করি কীভাবে আমাদের নিজের বাচ্চাদের রক্ষা করা যায়। কিন্তু তাদের এগুলো শেখানোও সমান গুরুত্বপূর্ণ যে হেয় করা বা খারাপ কথা কীভাবে অন্য লোকেদের প্রভাবিত করে। তাই কখনও কাউকে হেয় করা বা খারাপ কথা বলা উচিত নয়।”

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট হওয়ার পর থেকে ৯ মিলিয়নেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। নেটিজেনরা তাহেরার প্রশংসা করছেন। একজন নেটিজেন লিখেছেন, “বাচ্চাদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য় এটি একটি আশ্চর্যজনক উপায়।” অন্য একজন ইউজার মন্তব্য করেছেন, “আশ্চর্যজনক। আমি নিশ্চিত যে আরও অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের এগুলো শেখাবেন।”

Published by:Rachana Majumder

(Source: news18.com)