আমেরিকার হামলায় ইরানের তেমন ক্ষতি হয়নি বলে রিপোর্ট দেন, আমেরিকায় গোয়েন্দা আধিকারিক বহিষ্কৃত

আমেরিকার হামলায় ইরানের তেমন ক্ষতি হয়নি বলে রিপোর্ট দেন, আমেরিকায় গোয়েন্দা আধিকারিক বহিষ্কৃত

ওয়াশিংটন: চাকরি থেকে বহিষ্কৃত হলেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের গোয়েন্দা প্রধান। আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ তাঁকে বহিষ্কার করেছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া গিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দাবি করেছিলে, তার একেবারে উল্টো কথা বলতে শোনা গিয়েছিল আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের গোয়েন্দা প্রধানকে। তাই তাঁকে ছেঁটে ফেলা হল কি না, উঠছে প্রশ্ন। (Donald Trump News)

পেন্টাগনের ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সির (DIA) প্রধান জেফরি ক্রুসকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল ন্যান্সি লেকোর এবং নৌবাহিনীর স্পেশ্যাল ওয়ারফেয়ার কমান্ডের কমান্ডার, রেয়ার অ্যাডমিরাল মিলটন স্যান্ডসকেও দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। কেন তাঁদের ছেঁটে ফেলা হল, তিন জনের কেউই বলতে পারছেন না। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। (Pentagon Officer Fired)

গত ১৩ জুন ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দিলে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় আমেরিকা। ২২ জুন সরাসরি ইরানের আকাশে হানা দেয় আমেরিকা। ফোরডো, নানতাঞ্জ, ইসফাহান পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য় করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তারা। ওই হামলার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে ট্রাম্প জানান ইরানের পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রগুলিকে ‘পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়া হয়েছে। 

কিন্তু DIA-র যে রিপোর্ট জমা পড়ে, তাতে সম্পূর্ণ উল্টো দাবি করা হয়। সেই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে CNN জানায়,  ক্ষয়ক্ষতি বুঝতে আরও সময় লাগবে। তবে প্রাথমিক ভাবে তথ্য অনুযায়ী, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল উপাদানকে গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়নি। ধ্বংস করা যায়নি ইরানের ইউরেনিয়াম ভাণ্ডার। হামলার আগেই ইরান মজুত রাখা ইউরেনিয়াম অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে হয়ত কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে।

গোড়াতেই DIA-র ওই রিপোর্ট খারিজ করে দেয় হোয়াইট হাউস।  এমনকি রিপোর্ট বাইরে গেল কী করে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খাটো করে দেখাতেই এসব বলা হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট। সেই নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই পেন্টাগন আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়ার খবর সামনে এল। আমেরিকার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বহিষ্কারের কারণ হিসেবে বলা হয়, ওঁদের উপর ‘আস্থা নেই’ আর। এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আমেরিকার সেনেটর, তথা সেনেট সিলেক্ট কমিটি অন ইনটেলিজেন্সের ভাইস চেয়ারপার্সন মার্ক ওয়ার্নার। তাঁর কথায়, “জাতীয় স্বার্থের চেয়ে সরকারের প্রতি আনুগত্যর পরীক্ষা নিয়ে আরও এক সিনিয়র আধিকারিককে ছেঁটে ফেলা হল। ট্রাম্প সরকারের এই আচরণ আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।” আপাতত DIA-র ডিরেক্টর তথা মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ক্রিস্টিন বর্ডিন।

(Feed Source: abplive.com)