কোচ নয়, অন্য কেউ পুলের গভীর নিয়ে যায় বিদীপ্তকে ! বিস্ফোরক মা

কোচ নয়, অন্য কেউ পুলের গভীর নিয়ে যায় বিদীপ্তকে ! বিস্ফোরক মা

পার্থপ্রতিম ঘোষ, হাওড়া :  ৯ বছরের সাঁতার শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ মায়ের। তাঁর দাবি, এপ্রিল মাসে ভর্তি হয় বিদীপ্ত। গতকাল একসঙ্গে পুলে নেমেছিল প্রায় ৩৫ জন সাঁতারু। অন্য কেউ বিদীপ্তকে গভীর জলে নিয়ে যান। প্রশিক্ষক আসেন দুর্ঘটনার পর। এর কিছুক্ষণ পরেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বালককে নিয়ে আসা হয় পাড়ে। তার পেট থেকে প্রচুর জল বের করা হয়। নজরদারির অভাবের অভিযোগ তুলেছে মৃত বালকের পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সুইমিং পুলের গভীরতা কোথাও ৭, কোথাও ৬ ফুট। ডিমার্কেশনও করা ছিল না। আলাদা করে নেই বেবিপুল। ছিল না সিসি ক্যামেরার নজরদারিও। ঘটনার পর থেকেই বন্ধ সুইমিং ক্লাব। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ। গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে প্রশিক্ষকের দাবি, বালকের অসুস্থতার কারণেই এই ঘটনা।

আরও পড়ুন :

বাবার অপারেশনের জন্য ছিল ঘরে ফেরার কথা, ফিরছে দার্জিলিং-এর জওয়ানের মৃতদেহ

শুক্রবার জলে ডুবে মৃত্যু ৯ বছরের বালকের। নজরদারির অভাবের অভিযোগ ওঠে প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রশিক্ষক।  হাওড়ার রামরাজাতলায় শোকের ছায়া। মৃতের নাম বিদীপ্ত ঘোষ। 
বাড়ি রামরাজাতলার ব্রজনাথ লাহিড়ি রোডে। পরিবার সূত্রে খবর, এদিন বিকেলে মায়ের সঙ্গে ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাছে একটি ক্লাবের সুইমিং পুলে সাঁতার শিখতে গিয়েছিল বিদীপ্ত। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ সাঁতার শেখার সময় অচৈতন্য হয়ে ডুবে যায় সে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।