গরমে বাঘ দেখার আনন্দ ভুলিয়ে দেবে গ্রীষ্মের দহন, চলে আসুন পবিতোরা অভয়ারণ্য

পবিতোরা অভয়ারণ্য

গরমে জঙ্গল দেখার আনন্দই আলাদা। বছরের অন্যান্য সময়ে জঙ্গলের েয অবস্থা থাকে বা জঙ্গলকে যেভাবে দেখা যায়। গরমে সেই তুলনায় একটু আলাদা রকম ভাবে জঙ্গলকে দেখা যায়। গরমে জঙ্গলের প্রকৃতি অন্যরকমের হয়ে যায়। রোদে ঝলসানো গাছ পালা। পাতা ঝোঁপ ঝাড় কমে যাওয়ায় সহজেই প্রাণীদের দেখা মেলে। গরমের একটা অন্যরকম রূপ থাকে জঙ্গলের। তাই যাঁরা গরমে জঙ্গল সাফারি করেননি তাঁকে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। বছরের অন্য সময়ের থেকে অনেক বেশি ভাল লাগবে।

বাঘের দেখা মিলবেই

বাঘের দেখা মিলবেই

বছরের অন্যসময়ে জঙ্গলে গেলে খুব একটা পশু পাখির দেখা মেলে না। বিশেষ করে বাঘের দেখা মেলা তো কঠিন। কিন্তু গরম বাঘের দেখা মিলবেই একথা অনেক পর্যটকই হলফ করে বলেন। কারণ গরম থেকে বাঁচকে এই সময় জলাশয়ের কাছেই ঘোরাফেরা করে বাঘ। শুধু বাঘ কেন অন্যান্য পশুপাখিরাও জলাশয়ের কাছেই ঘোরাফেরা করে। ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঞ্চুয়ারির কাছাকাছি গেলেই বাঘের দেখা মিলবেই সেকথা বলাই যায়।

পবিতোরায় জঙ্গল সাফারি

পবিতোরায় জঙ্গল সাফারি

পবিতোরায় জঙ্গল সাফারি শুরু হয় সকাল ৭টা থেকে। আগের দিন দুপুর তিনটে বিশেষ অনুমতি নিয়ে রাখতে হয়। জিপ সাফারিতে খরচ পড়ে ২৩০০ টাকা। একটি জিপে ৬ জন করে যান। জঙ্গলে প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। জিপ ছাড়া হাতি সাফারিরও বন্দোবস্ত আছে। হাতি সাফারি শুরু হয় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আবার সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। জন প্রতি খরচ ৮০০ টাকা। নৌকা সফরেরও ব্যবস্থা রয়েছে এই জঙ্গলে।

কীভাবে যাবেন

কীভাবে যাবেন

গুয়াহাটি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে চন্দ্রপুর ও জোরহাট হাইওয়ের উপরে রয়েছে পবিতোরা অভয়ারণ্য। ৩৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই অভয়ারণ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এক শৃঙ্গ গণ্ডার। এছাড়া রয়েছে েলপার্ড, বুনো শুয়োড়,বুনো মোষ, লেপার্ড ক্যাটের মত একাধিক বন্য প্রাণী। দেখা যায় নানা প্রজাতির পাখি। শীতকালে ভিড় করে পরিযায়ী পাখির দল। কলকাতা থেকে েযতে হলে সোজা সরাইঘাট এক্সপ্রেসে গুয়াহাটিল পৌঁছে যান। আবার কামরূপ, কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসেও যাওয়া যায় গুয়াহাটি। কলকাতা থেকে দেড় ঘণ্টায় বিমানে গুয়াহাটিও চলে আসতে পারেন।

(Source: oneindia.com)