এও সম্ভব! একসঙ্গে মোটা মাইনের সতেরোটা চাকরি! রেকর্ড গড়লেন বালির অরিজিৎ

এও সম্ভব! একসঙ্গে মোটা মাইনের সতেরোটা চাকরি! রেকর্ড গড়লেন বালির অরিজিৎ

#চুঁচুড়া: করোনা কালে চাকরির আকাল, শিক্ষিত বেকার বাড়ছে, এমন সময় এক সঙ্গে ১৭ টি চাকরি পেয়ে চমকে দিলেন অরিজিৎ রায়।
বালি ঘোষপাড়ার বাসিন্দা অরিজিৎ চুঁচুড়ার হুগলি ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজের ছাত্র।

করোনা অতিমারির জন্য গত দু’বছর একাধিক সেক্টরে চাকরির আকাল তৈরী হয়। বহু সংস্থা তাদের কর্মী ছাঁটাই শুরু করে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু হওয়ার পর আবার বিভিন্ন সেক্টরে কাজের সুযোগ তৈরী হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলোতে বন্ধ থাকা ক্যাম্পাসিং শুরু হয়েছে। অনলাইন ক্যাম্পাসিং থেকে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ শুরু হয়। সম্প্রতি যাদবপুরের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র বিশাখ মণ্ডলের প্রায় দু কোটি টাকা বার্ষিক বেতনের চাকরি পাওয়ার খবর সামনে আসে।

অরিজিৎ গত দু’মাসে ১৭ টি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে ক্র্যাক করে। তার মতো ওই কলেজ থেকে আরো কয়েকজন ছাত্র উইপ্রো, টিসিএস, ইনফোসিস, এক্সেঞ্চার, বাইজুস-এর মত কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছেন। অরিজিৎ জানান, কম্পিটার সায়েন্সের মূল বিষয় হল প্রোগ্রামিং। যেটা খুব ভালো করে শিখতে পারায় চাকরি পেতে সুবিধা হয়েছে। প্রত্যেকটা বিষয় খুব ভালোভাবে পড়ায় মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি গুলো ক্র্যাক করতে সাহায্য করেছে।

কোভিডের কারণে ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গুলোতে কর্মহীন হয়েছে বহু মানুষ। এখন তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলো থেকে সেই অভাব পূরন করতে চাইছে তারা। তাই সার্ভিস বেস কোম্পানি গুলো নিয়োগ শুরু করেছে। কোভিডের সময় যে পরিস্থিতি ছিল তার পরিবর্তন হতেও শুরু করেছে। আইটি ইঞ্জিনিয়ার যারা, তাদের সামনে অনেক সুযোগ আছে।

ওই কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ স্মিতধী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ”করোনার জন্য অনেকের চাকরি চলে গেছে, এটা ঠিক। তবে আমাদের কলেজের পড়ুয়াদের চাকরির সুযোগ এসেছে। কলেজ বন্ধ থাকার সময় অনলাইনে পাঠ এবং প্র্যাকটিক্যাল ঠিকমতa করানো হয়েছে। পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ এবং চাকরির ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে।”

—সৈকত বিশ্বাস

Published by:Suman Biswas

(Source: news18.com)