#নয়াদিল্লি: আমাদের দেশে সরকারি চাকরির আলাদাই গুরুত্ব রয়েছে। অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবার এখনও বিশ্বাস করেন যে একবার সরকারি চাকরি পাওয়া গেলে জীবনে আর কোনও সমস্যা হবে না। কেন না, এসব চাকরিতে সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে আরামে জীবন কাটানোর প্রবণতা (Viral News)। আমাদের দেশে সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে সরকারি চাকরি পেতে গেলে ঠিক যতটা মানসিক এবং শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়, সরকারি চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় ঠিক ততটাই আরামে দিন কাটানো যায়। এর পাশাপাশি প্রতি মাসের বেতনে জীবনের নিশ্চয়তা তো রয়েইছে। কিন্তু কয়েক মাস ধরেই ইন্টারনেটে একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে যেখানে এক সরকারি কর্মরত ব্যক্তির তৎপরতা দেখে নিঃসন্দেহে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা আসবে।
ভারতীয় রেলের এই কর্মী সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটাগরিকদের নজর কেড়ে নিয়েছেন। অত্যন্ত দ্রুত কাজ করতে সক্ষম এই কর্মীর তৎপরতা হার মানিয়ে দেবে যে কোনও রোবটকেও। অফিস টাইমে টিকিট পেতে তাড়াহুড়োর সময় এই ব্যক্তির তৎপরতায় তিনি যাত্রীদের কাছে উদ্ধারকর্তা হয়ে উঠেছেন। মাত্র ১৫ সেকেন্ডে তিনটি টিকিট কেটে সকলকে চমকে দিয়েছেন তিনি। সাধারণত ভারতীয় রেলওয়ে কাউন্টারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে যেখানে আমাদের টিকিটের জন্য লাইন দিতে হয়, সেখানে ওই কর্মী নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম।
Somewhere in Indian Railways this guy is so fast giving tickets to 3 passengers in 15 seconds. pic.twitter.com/1ZGnirXA9d
— Mumbai Railway Users (@mumbairailusers) June 28, 2022
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে রেলের ওই কর্মীর ভিডিও। ভিডিওটিতে স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিনে টিকিট কাটতে দেখা যাচ্ছে ওই কর্মচারীকে। মাত্র পনেরো সেকেন্ডে তিনটি টিকিট কেটে এক ধাক্কায় কমিয়ে দিচ্ছেন যাত্রীদের লাইন। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি শুধু যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁদের হাতে টিকিট তুলে দিয়েই পরবর্তী যাত্রীর গন্তব্য জানতে চান। টিকিট বিতরণের আগেই ওই কর্মী অন্য যাত্রীর কাছ থেকে তাঁর তথ্য নিয়ে দ্বিতীয় টিকিট কাটার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেন।
সম্প্রতি এই ভিডিওটি ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন মুম্বই রেলওয়ের এক যাত্রী। ভিডিওটির সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি জানিয়েছেন প্রতি ১৫ সেকেন্ডে তিনটি টিকিট প্রিন্ট করে দেন ওই কর্মী । এর পর থেকেই ভিডিওটি ভাইরাল হতে শুরু করে, অনেকেই অন্যান্য রেলওয়ে কর্মীদের সঙ্গে এই ব্যক্তির কর্মতৎপরতার তুলনা করে সরকারি কর্মীদের ব্যঙ্গ করেছেন। অনেকে আবার লিখছেন, এমন কর্মীদের সংখ্যা যদি প্রতিটি সরকারি অফিসে বাড়ানো যায় তবে আর সরকারি কর্মীদের ওপর কারও কোনও ক্ষোভ থাকবে না।