দেবপ্রিয় দত্ত মজুমদার: ‘হৃদয়ের সুতো ছিঁড়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার’! পরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে শোকাহত অভিনেতা অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। জি ২৪ ঘণ্টাকে বললেন, ‘আজ আমি যেটুকু সভ্য-ভদ্রভাবে চলি, সবটাই পরিকল্পনা করে আমায় শিক্ষা দিয়েছেন। বাড়ির বড়রা যেমন ছোট দেয় দেয়। আমার যে গুণে জন্য যেখানেই সমাদৃত হয়েছি, কৃতিত্ব ওই ২ জনের। সন্ধ্যাদি আর তরুণদা। আর আলাদা করে কিছু বলার নেই’।
বাংলার সিনেমায় তরুণ-যুগের অবসান। ভালোবাসার বাড়ি ছেড়ে এবার চাঁদের বাড়িতে সেলুলয়েডের গল্প-কথক। প্রয়াত কিংবদন্তী তরুণ মজুমদার। বয়স নব্বই পেরিয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ দু-দশক ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। SSKM হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রবীণ পরিচালক। রবিবার মধ্যরাত থেক শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। প্রয়াত হন সোমবার সকালে।
সংক্ষিপ্ত অভিনয় জীবন। হাতেগোনা কয়েকটি ছবিতে করার পর ব্য়াঙ্কের চাকরিতে মন দেন অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটুকু অভিনয়ও তো তরুণ মজুমদারের সৌজন্যেই! পরিচালকের ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ ছবিতেই অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন অয়ন। কাজ করেছেন ‘দাদার কীর্তি’তেও।
কেমন ছিল দু’জনের সম্পর্ক? জি ২৪ ঘণ্টাকে অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘তরুণ মজুমদারের সঙ্গে প্রথম আলাপ ফোনে। আমাকে জোর করে রাস্তা থেকে সন্ধ্যা রায় ধরে এনেছিলেন। বাড়িতে এনে তরুণ মজুমদারের সঙ্গে আলাপ করান। যেহেতু তখন নকশাল আমল ছিল, শুটিং পৌঁছতে পারব কিনা, জানা নেই। ওঁনার বাড়িতেই থাকার আমার থাকার ব্যবস্থা হয়’। বললেন, ‘জামা-কাপড় নিয়ে ওখানেই থাকতাম। আমি বাড়ির সদস্য হয়ে গেলাম তখন। ৫০-৫১ বছরের আগের কথা’।
(Source: zeenews.com)