শুভব্রত মুখার্জি: স্টোকসদের বিরুদ্ধে ২-১ ফলে এগিয়ে থেকে সিরিজের এজবাস্টন টেস্টে নেমেছে ভারতীয় দল। রোহিত শর্মা, কেএল রাহুলদের অনুপস্থিতিতে ভারতের কাছে কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। প্রথম ইনিংসে টসে হেরে এজবাস্টনের মেঘলা আবহাওয়াতে ব্যাট করাটা ছিল আরও বেশি কঠিন। ভারত তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল। ভারতের প্রথম ইনিংসে একটা সময় স্কোর ছিল ৯৮/৫। সেখান থেকেই খেলা কার্যত ঘুরিয়ে দেন পন্ত-জাদেজা জুটি। আর এই পার্টনারশিপ গড়ার পাশাপাশি তারা ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে গড়ে ফেললেন এক নয়া নজিরও। দ্বিশতরানের পার্টনারশিপ গড়ার ক্ষেত্রে সর্বাধিক রানরেট রেখে এই জুটি গড়ার ক্ষেত্রে ভারতের টেস্ট ইতিহাসে নয়া নজির গড়লেন পন্ত-জাদেজা।
প্রসঙ্গত ঋষভ পন্ত এবং রবীন্দ্র জাদেজা দুজনে মিলে ২২২ রানের জুটি গড়েন। বলা ভালো ভারতকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে ইংল্যান্ড বোলারদের কাউন্টার অ্যাটাকের রাস্তা বেছে নেন তারা। যতক্ষণ পন্ত উইকেটে ছিলেন ততক্ষণ জাদেজা অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলা খেলেননি। তবে পন্ত একেবারে খুনে মেজাজে ব্যাট করেন। মাত্র ১১১ বলে ১৪৬ রান করে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন ততক্ষণে ভারতের রান ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছে। রুটের বলে মারতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন পন্ত।
আর পন্ত-জাদেজার এই আক্রমণাত্মক পার্টনারশিপ ভারতকে ম্যাচে তো ফেরায়, তার পাশাপাশি জুটিতে নজির গড়েন এই দুই ব্যাটার। ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিশতরানের যত পার্টনারশিপ হয়েছে সেখানে সবথেকে দ্রুতগতিতে রান করার অর্থাৎ দ্রুত রানরেট রেখে পার্টনারশিপ গড়ার নজির গড়লেন। আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই পরিসংখ্যান:
১) ২০২২, বনাম ইংল্যান্ড, জাদেজা-পন্ত ৫.৭৬।
২) ২০১৯, বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, কোহলি-জাদেজা, ৫.৭৪।
৩) ২০০৯, বনাম শ্রীলঙ্কা, সেহওয়াগ-বিজয়, ৫.৬৪।
৪) ২০০৯, বনাম শ্রীলঙ্কা, সেহওয়াগ-গম্ভীর, ৫.৬৩।
৫) ২০০৯, বনাম শ্রীলঙ্কা, সেহওয়াগ-দ্রাবিড়, ৫.৪৯।