Viral Photo of Rare Blue Lobster: গলদা চিংড়ির তিড়িং বিড়িং তো দেখেছেন, চেখেও দেখেছেন মাখো মাখো করে। কিন্তু একেবারে নীল রঙের চিংড়ি বাজারে পেলে কেমন লাগবে হঠাৎ? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মৎস্যজীবী লার্স-জোহান লারসন সম্প্রতি অত্যন্ত বিরল নীল গলদা চিংড়ি ধরেছেন। দুই মিলিয়নে একটি এমন চিংড়ি মেলা সম্ভব। রবিবার চিংড়িটির একটি ছবি শেয়ার করে লারসন লিখেছেন, “এই নীল গলদা চিংড়িটি গতকাল পোর্টল্যান্ডের উপকূলে ধরা পড়েছিল এবং পরে তাকে জলেই ফেরত পাঠানো হয়।” এমন উজ্জ্বল নীল রঙের চিংড়ির ছবি দেখে ঝড়ের গতিতে লাইক পড়তে থাকে তাঁর পোস্টে। ট্যুইটে লাইকের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে হয় ৫১৬,০০০ এবং ৪৩,০০০ বার রিট্যুইটও করা হয় এটি।
এই হল সেই বিরল নীল চিংড়ি:
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে হড়পা বানের আশঙ্কা! দুর্যোগের মুখে স্থগিত অমরনাথ যাত্রা, আটকে বহু যাত্রী
This blue Lobster was caught off the coast of Portland yesterday and returned to the water to continue to grow. Blue lobsters are one in two million. pic.twitter.com/6chTk7PoLP
— Lars-Johan Larsson (@LarsJohanL) July 3, 2022
স্বাভাবিকভাবেই এমন অদ্ভুত রঙের চিংড়ি দেখে তাজ্জব নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, “এত বছর বয়স হল, আজ প্রথম নীল গলদা চিংড়ি দেখছি।” অন্য আরেকজন লিখেছেন, “আমার সৌভাগ্য এমন বিরল প্রাণী দেখলাম। আশ্চর্য! লালের বদলে নীল রঙের।” তৃতীয় একজন আবার রসিকতা করে লিখেছেন, “সবসময় নীল রঙের বলেই ধরা পড়ে এবং নীল রঙের বলে ছাড়াও পেয়ে যায়।”
কিছুজন আবার জানিয়েছেন, তাঁরাও কখনও না কখনও এই বিরল প্রাণীটিকে ধরেছেন। “লং আইল্যান্ড সাউন্ডে ১৯৯৩ সালের গ্রীষ্মে একটি নীল গলদা চিংড়ি ধরা পড়েছিল৷ আমরা ওকে একটি অ্যাকোয়ারিয়ামে দান করেছিলাম যাতে দীর্ঘকাল বাঁচতে পারে.. দেখতে খুব সুন্দর ছিল,” লিখেছেন একজন। “আমরা ১৫ বছর আগে নর্থ হ্যাভেনে একটি নীল গলদা চিংড়ি ধরেছিলাম। আমরাও অকে জলেই ছেড়ে দিই,” লিখেছেন অন্য একজন।
আরও পড়ুন- ওটিপি বলা নিয়ে বচসার জের! যাত্রীকে খুন করার অভিযোগ ওলা চালকের বিরুদ্ধে!
বেশিরভাগ গলদা চিংড়ি কর্দমাক্ত বাদামী বা লাল রঙের হয়। মেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের লবস্টার ইনস্টিটিউটের মতে, নীল গলদা চিংড়ি খুবই বিরল এবং দুই মিলিয়নের মধ্যে মাত্র একটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জিনগত অস্বাভাবিকতার কারণে নীল গলদা চিংড়িগুলি এই রঙের হয়। এর ফলে অন্যদের তুলনায় একটি নির্দিষ্ট প্রোটিন বেশি উত্পাদন করে এই চিংড়িরা।