দাম শুনলে চোখ উঠবে কপালে! এই প্রাণীর দুধ থেকেই তৈরি হচ্ছে সোনার মতো দামি পনির

দাম শুনলে চোখ উঠবে কপালে! এই প্রাণীর দুধ থেকেই তৈরি হচ্ছে সোনার মতো দামি পনির

সোনার দরে পাওয়া যাচ্ছে পনির! এক কেজি পনিরের মূল্য প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি! আবার যে-সে পনির নয়, এক বিশেষ প্রাণীর দুধ থেকেই তৈরি হয় এই মহার্ঘ্য পনির (Viral News)।

আসলে পনির (Paneer) খেতে কার না-ভাল লাগে! লাঞ্চ থেকে ডিনার, এমনকী সন্ধ্যার মুখরোচক জলখাবারেও পনিরের উপস্থিতি একেবারে জমিয়ে দেয় ভূরিভোজ। আর পনির দিয়ে তৈরি নানা ধরনের পদ খেতে সুস্বাদু তো বটেই, সেই সঙ্গে তা আমাদের শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। তবে আজ এই পনিরের বিষয়েই একটা মজার তথ্য আমরা ভাগ করে নেব। আমরা তাই আলোচনা করব বিশ্বের সবথেকে দামি পনিরের বিষয়ে। যার নাম পিউল চিজ (Pule Cheese)। আর ১ কেজি এই পনিরের যা দাম, তা দিয়ে স্বছন্দে সোনার গয়না কিংবা একটা নেকলেস কিনে ফেলা যাবে!

আরও পড়ুন– শুরু হচ্ছে চতুর্মাস; এই চার রাশির উপর বর্ষিত হবে ভগবান বিষ্ণুর কৃপা

কি, অবাক লাগছে, তা-ই তো? আসলে প্রতি কেজি এই পনিরের দাম প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ ইউরো অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রতি কেজি এই পনিরের দাম প্রায় ৮০,০০০ থেকে ৮২,০০০ টাকা। বিশ্বের সবচেয়ে দামি পনির হিসেবে গণ্য করা হয় পিউল চিজ-কে।

পিউল চিজের দামের নেপথ্য-কাহিনী:

পনিরের এহেন দাম শুনে নিশ্চয়ই অবাক লাগছে! প্রশ্ন জাগছে, এই পনিরে এমন কী আছে যে, এর দাম এতটা বেশি! সেটাই ভেঙে বলা যাক। সংবাদমাধ্যমের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এই পনির কোনও ল্যাবে তৈরি করা হয় না। এই পিউল চিজ আসলে তৈরি হয় গাধার দুধ থেকে। তবে যে-সে গাধা নয়! এ গাধা সার্বিয়ার এক বিশেষ প্রজাতির গাধা। যা বলকান গাধা নামে পরিচিত। এই বিশেষ ধরনের গাধার দুধ থেকেই তৈরি হয় পিউল চিজ। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, বিশ্বের সব দেশ এই পনির উৎপাদনে অক্ষম। শুধুমাত্র সার্বিয়ার জাসাভিকা স্পেশাল নেচার রিজার্ভেই পিউল চিজ প্রস্তুত করা হয়। এর জন্য ৬০ শতাংশ গাধার দুধ এবং ৪০ শতাংশ ছাগলের দুধ মেশানো হয়। তার পর প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পিউল চিজ বানানো হয়। ১ কেজি এই পনির তৈরি করতে বলকান গাধার প্রায় ২৫ লিটার টাটকা দুধের প্রয়োজন হয়।

গাধার এহেন গুণে চক্ষু-চড়কগাছ!

সাধারণত মাল বহন করার কাজেই ব্যবহৃত হয় গাধা। তবে অনেকেই আজকাল গাধার দুধের ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। কারণ এই দুধ অত্যন্ত উপকারী আর অন্যান্য প্রাণীর দুধের তুলনায় অনেকটাই দামি। দামের ক্ষেত্রে মহার্ঘ্য ইতালীয় ট্রাফলের সমতুল্য এই পিউল চিজ। আসলে গাধার দুধ থেকে পিউল চিজ বানাতে একটি গোপন পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রস্তুতকারীরা। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল যে, ভারত-সহ বহু দেশেই কমেছে গাধার সংখ্যা। তাই এই প্রাণীদের যদি সংখ্যা বাড়ানো যায়, তাহলে প্রচুর মুনাফা হতে পারে। কারণ প্রতি লিটার গাধার দুধ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামে বিক্রি হয়। কারণ এই দুধ প্রসাধনী সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। কথিত আছে, সৌন্দর্যের জন্য মিশরের সুন্দরী রানি ক্লিওপেট্রা প্রতিদিন গাধার দুধ দিয়ে স্নান করতেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে গাধার দুধের ভূমিকা কতটা!

Published by:Siddhartha Sarkar

(Source: news18.com)