#নয়াদিল্লি: ৩ হাজার ৩০০ মিটারের গ্লেসিয়ার ভেঙে পড়ল ইউরোপের আল্পস পর্বতে। প্রকৃতির এমন ভয়াল রূপ এর আগে দেখেনি বিশ্ব। সেই ছবিই ধরা পড়েছে এ বার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া পাল্টে যাচ্ছে, দ্রুত বাড়ছে তাপমাত্রা। সেই কারণেই প্রায় জীবাশ্ম-সম প্রাচীন এই গ্লেসিয়ার বা হিমবাহ গলে, ধসে পড়ে গিয়েছে পুরোটাই। সেই কারণেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, পৃথিবীর স্বাভাবিক তাপমাত্রা এ বার অনেকটাই বাড়তে পারে। ইউরোপ আগের থেকে অনেক বেশি উষ্ণ গ্রীস্মকাল দেখতে পারে এ বার।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইতালিতে এ বারে তাপপ্রবাহ চলবে, তা আগে কখনই দেখা যায়নি। এমন কী চাষেরও সমস্যা হতে পারে সে দেশে, দেখা দিতে পারে জলকষ্ট। মার্মোলাডার এই হিমবাহ গলে পড়েছে গত রবিবার। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এই বরফে মোড়া রাস্তা সাধারণত ব্যবহার করা হয় পাহাড়ে চড়ার জন্য। সেই কারণেই আশঙ্কা আরও বাড়ছে। এ ভাবে হিমবাহ গলে পড়ে যাওযার ঘটনা যদি ঘটে, তা হলে ভবিষ্যতেও আরও অনেক দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হতে পারে পর্বতারোহীদের।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলে তাপমাত্রা এক ধাক্কায় উঠে গিয়েছিল ১০ ডিগ্রির বেশি। যে কারণে এই হিমবাহ গলে পড়েছে বলে খবর। মিলান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানিযেছেন, এ বারে, অর্থাৎ ২০২২ সালের এই তীব্র গরম হিমবাহের ক্ষেত্রে ঝড় বয়ে আনতে চলেছে। তাঁরা বলেছেন, কেউ ভাবেনি এটি এ ভাবে ভেঙে পড়বে। এটিকে জলবায়ুর জীবাশ্ম বলা হচ্ছে, কারণ দীর্ঘদিন ধরে এই হিমবাহটি একই রকম রয়েছে। সেটি এ ভাবে ভেঙে পড়বে, কেউ ভাবেইনি।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, মার্মোডলো জাতীয় হিমবাহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ সেটি কতটা স্থায়ী থাকবে, তার জন্য তাপমাত্রা বজায় থাকা জরুরি। কিন্তু সেখানে আর শূন্যের নীচে তাপমাত্রা নেই, সেই কারণেই হয়েছে সমস্যা। তাপমাত্রার এই ধারা বজায় থাকলে ফের বরফ জমা বা রিফ্রিজ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।