রাতে ঘুম ভেঙে বারবার প্রস্রাব? পুরুষদের শরীরে কী সংকেত দিচ্ছে? কী বলছেন ডাক্তাররা জেনে নিন

রাতে ঘুম ভেঙে বারবার প্রস্রাব? পুরুষদের শরীরে কী সংকেত দিচ্ছে? কী বলছেন ডাক্তাররা জেনে নিন

 

প্রস্টেটের আকার বৃদ্ধি একটি অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা, যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ পুরুষকে প্রভাবিত করে, বিশেষত ৫০ বছরের পর। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বারবার প্রস্রাব পেতে থাকা, প্রস্রাব শুরু বা বন্ধ করতে অসুবিধা—যা জীবনের মানকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়। আস্টার মেডসিটি, কোচির ড. সন্দীপ প্রভাকরণ এই বিষয়ে জানাচ্ছেন প্রয়োজনীয় তথ্য।
 
রাতে বারবার ঘুম ভেঙে বাথরুমে যাওয়া—এটা হয়তো অনেকেই সাধারণ অসুবিধা বলে মনে করেন। দেরিতে জল খাওয়া বা রাতে চা পানের ফল মনে করে বেশিরভাগ সময়ই বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু যখন এই অভ্যাস রোজকার ঘুম এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটাতে শুরু করে, তখন এটি শরীরে কোনও গোপন সমস্যার সংকেত হতে পারে।
 
পুরুষদের ক্ষেত্রে, বিশেষত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, এর অন্যতম সাধারণ কারণ হল **বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া (BPH) বা প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া।
 
প্রস্টেটের আকার বৃদ্ধি একটি অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা, যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ পুরুষকে প্রভাবিত করে, বিশেষত ৫০ বছরের পর। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বারবার প্রস্রাব পেতে থাকা, প্রস্রাব শুরু বা বন্ধ করতে অসুবিধা—যা জীবনের মানকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়। আস্টার মেডসিটি, কোচির ড. সন্দীপ প্রভাকরণ এই বিষয়ে জানাচ্ছেন প্রয়োজনীয় তথ্য।
 
রাতে বারবার প্রস্রাব পেতে যাওয়ার কারণ কেন উদ্বেগজনকবয়সের সঙ্গে প্রস্টেটের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়, কিন্তু অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে এটি অতিরিক্ত বড় হতে শুরু করে। বড় প্রস্টেট ইউরেথ্রাকে চেপে দেয় এবং স্বাভাবিক প্রস্রাব প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে দেখা দেয়—
 
রাতে বারবার ঘুম ভেঙে প্রস্রাবের জন্য উঠতে হওয়া (নকচুরিয়া)প্রস্রাব শুরু করতে অসুবিধা প্রস্রাবের শেষে ফোঁটায় ফোঁটায় পড়ে মনে হওয়া যে মূত্রথলি পুরোপুরি খালি হচ্ছে না
 
এই রাতের লক্ষণগুলি অবহেলা করা উচিত নয়। খারাপ ঘুম মেজাজ, শক্তি, হার্টের স্বাস্থ্য এবং সার্বিক ভাল্লাগায় প্রভাব ফেলে। আরও বড় কথা, বারবার নকচুরিয়া মানে প্রস্টেট ব্লাডারে চাপ দিচ্ছে—বা খুব কম ক্ষেত্রে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা অন্য কোনও সমস্যা থাকতে পারে।
 
কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরিনিচের লক্ষণগুলি দেখা দিলে একজন ইউরোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন—রাতে বারবার প্রস্রাব পেতে যাওয়াপ্রস্রাবের দুর্বল বা থেমে থেমে বের হওয়াহঠাৎ প্রস্রাবের তাগিদ বা ধরে রাখতে না পারামূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি না হওয়ার অনুভূতিপ্রস্রাব শুরু করতে সমস্যা
 
সহজ কিছু পরীক্ষা—যেমন ইউরিন টেস্ট, PSA রক্ত পরীক্ষা, আলট্রাসাউন্ড বা ইউরোফ্লোমেট্রি—সমস্যার কারণ দ্রুত শনাক্ত করতে পারে।রাতে বারবার বাথরুমে যেতে হলে তা বয়স বা বেশি জল খাওয়ার অজুহাতে হালকা করে দেখবেন না। আপনার শরীর সংকেত দিচ্ছে যে কোথাও সমস্যা হচ্ছে। সময়মতো ডায়াগনোসিস ও আধুনিক চিকিৎসা জীবনের মান অনেকটাই ভালো করে দিতে পারে—ঘুম ভালো হবে, শক্তি বাড়বে, এবং দৈনন্দিন রুটিনে ফিরে আসতে সাহায্য করবে।
 
আধুনিক চিকিৎসা: মিলছে নিশ্চিত আরামসুখবর হল—এখন BPH অত্যন্ত কার্যকরভাবে চিকিৎসাযোগ্য। ওষুধে প্রস্টেটের পেশি শিথিল করা বা আকার কমানো যায়, তবে অনেকের ক্ষেত্রে মিনিমালি ইনভেসিভ পদ্ধতি দীর্ঘমেয়াদি স্বস্তি দেয়।এর মধ্যে অন্যতম হল ওয়াটার-ভেপার থেরাপি, যেখানে নিয়ন্ত্রিত বাষ্প ব্যবহার করে অতিরিক্ত প্রস্টেট টিস্যু ছোট করা হয়।এই থার্মাল পদ্ধতিতে বাষ্পের তাপ প্রস্টেটের অতিরিক্ত টিস্যু ধ্বংস করে—ফলে প্রস্টেটের আকার কমে, পার্শ্ববর্তী অঙ্গগুলিও সুরক্ষিত থাকে এবং জটিলতাও কম হয়।
 
এটি একটি ডে-কেয়ার প্রোসিডিউর, বড় অপারেশনের প্রয়োজন হয় না, এবং যৌনক্ষমতাও অক্ষুণ্ণ থাকে।এ ছাড়াও লেজার থেরাপি ও অন্যান্য আধুনিক মিনিমালি ইনভেসিভ সার্জারির মাধ্যমে ইউরেথ্রার উপর চাপ কমিয়ে স্বাভাবিক প্রস্রাব প্রবাহ ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
 
(Feed Source: news18.com)