
অয়ন ঘোষাল: পুজোর আগে ভিন রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগে সরব রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দফায় দফায় রাস্তায় নেমেছিল বাংলা ও দিল্লিতে। বড়দিনের আগে ফের একবার একই ইস্যুতে উত্তাল দেশ। এবার শ্রমিক নয়। বাঙালি উদ্বাস্তু আদিবাসী মহিলার মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার এবং ৫০টি বাঙালি আদিবাসীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল ওড়িশার মালকানগিরি। জারি কারফিউ।
মালকান ভিলেন ২৬ নামের গ্রামে ষাট-সত্তরের দশকে ওড়িশায় পা রাখা উদ্বাস্তু বাঙালি আদিবাসী পরিবারের বসবাস। সেই গ্রামে ওড়িশা প্রশাসন মুখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা বললেও বাস্তবে পরিস্থিতি যে বেশ জটিল তার প্রমাণ আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত গোটা জেলায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত।
MV ২৬ গ্রাম আপাতত পুরুষ শূন্য। কেন্দ্রীয় আধাসেনা মোতায়েনের দাবি উঠছে আদিবাসী বাঙালিদের পক্ষ থেকে। ওড়িশা পুলিশের দক্ষিণ পশ্চিম শাখার আইজি কানোয়াল বিশাল সিং ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্তি বৈঠক করেছেন সোমবার সন্ধ্যায়। মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রামের ১০ কিলোমিটার বৃত্তে পূর্বতন ১৪৪ ধারা অর্থাৎ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি আছে।
অভিযোগ, স্থানীয় ৫০০০ হাজার উন্মত্ত জনতা হামলা চালায় ওড়িশার মালকানগিরি জেলার মারিওড়া পঞ্চায়েতের এম ভি ২৬ গ্রামে। কুড়ুল, তরোয়াল, তীর-ধনুক হাতে হামলা চালায় হামলাকারীরা। জেলা সদর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরের ওই গ্রামে ঢুকে একের পর এক বাড়ি, ঘরের জিনিসপত্র, পশু, যানবাহন জ্বালিয়ে দেয় হামলাকারীরা।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় পতেরু নদীতে উদ্ধার হয় ৫৫ বছরের লাকে পদিয়ামি নামে এক মহিলার মুণ্ডহীন দেহ। নিহত আদিবাসী মহিলা কোয়া জাতিগোষ্ঠীর বলে জানা গিয়েছে। এখনও নিহত আদিবাসী মহিলার মাথাটি পাওয়া যায়নি। তারপর থেকেই উত্তাল মালকানগিরি।
(Feed Source: zeenews.com)
