
বাবা-মেয়ের গল্প বলল বাংলা ছবি হাঁটি হাঁটি পা পা৷ এই ছবিতে শুধু মেয়ের জন্য বাবার স্নেহ নয়, উল্টে বাবার জন্য মেয়ের ভালবাসাও প্রকাশ পেয়েছে৷
বাবা-মেয়ের সম্পর্ক সবসময় খুব মিষ্টি৷ মেয়েদের প্রতি বাবাদের স্নেহ থাকে অমরিসীম৷ মেয়ে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবার তাঁকে নিয়ে চিন্তাও বাড়ে৷ মেয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়া থেকে তাঁর বিয়ে, ভারতীয় সমাজে মেয়ের বাবার এমন চিন্তা খুবই সাধারণ৷ এবার সেই বাবা-মেয়ের গল্প বলল বাংলা ছবি হাঁটি হাঁটি পা পা৷ এই ছবিতে শুধু মেয়ের জন্য বাবার স্নেহ নয়, বাবার জন্য মেয়ের ভালবাসাও প্রকাশ পেয়েছে৷

এমন গল্প বলেছেন পরিচালক অর্ণব মিদ্যা৷ তবে এখানেই ছবির শেষ নয়৷ একেবারে শেষেই রয়েছে ছবির ট্যুইস্ট এবং অবশ্যই কঠিক বাস্তবের মুখোমুখি হবেন দর্শক৷ গল্পটার মধ্যে একটা সারল্য রয়েছে৷ এবং এর পাশাপাশি বস্তাপচা ভাবনার বাইরে একটু মন ভরে খোলা নিঃশ্বাস নেওয়ার কথা বলে এই ছবি৷ সেই কারণে বাবার বিয়ে দেওয়া জন্য মেয়ের চেষ্টা দেখা যায়৷ ফলে এই ছবি শুধু বাবা-মেয়ের গল্প হয়েই থাকে না, বয়স্কদের জীবনচর্চার এক বার্তাও দেয়৷ তবে সবটাই দেখানো হয়েছে খুব লাইট মোডে৷
এবার আসা যাক অভিনয়ের ব্যাপারে৷ বর্ষীয়ান অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে বেশ ভাল লাগবে৷ রুক্মিণী অনেকটাই চেষ্টা করেছেন চরিত্রটি জীবন্ত করে তুলতে৷ তুলিকা বসু, অঞ্জনা বসু, সন্দীপ্তা ভট্টাচার্য, বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রণয় দাশগুপ্ত, প্রিয়াঙ্কা পোদ্দার সকলেই ভাল৷ ছবিতে কয়েকটি গান রয়েছে৷ যদিও কোনওটা সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি৷
ছবি গতি একটু স্লথ৷ ফলে প্রথমদিকে খানিকটা অন্যমনস্ক হতে পারেন৷ ছবির গল্প বেশ আধুনিক৷ পরিচালক অর্ণবের কাজ ভাল লাগবে৷ যে পথে আমাদের বাবা মায়েরা হাঁটেন, সেই একই পথে আমরা চলি এবং এরপর চলে আমাদের পরের প্রজন্ম৷ এইভাবে ছবির নামকরণ হাঁটি হাঁটি পা পা৷ এই ছবি জীবনের গল্প বলতে চেয়েছে, তবে কোথাও গিয়ে যেন একটু ছন্দপতন হয়েছে৷ অর্থাৎ আরও একটু পাঞ্চ দরকার ছিল বলে মনে হতে পারে দর্শকদের৷ যদিও শীতের ছুটিতে একবার দেখে আসতেই পারেন বাবা-মেয়ের এই কাহিনি৷ ট্রেলারে পিকু ছবির সঙ্গে অনেকে মিল খুঁজে পেলেও গোটা ছবি একেবারে তেমন নয়৷
