মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য একনাথ শিন্ডেকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এদিকে শিবসেনা নেতা সুভাষ দেশাই একনাথ শিন্ডের আস্থা ভোটের জয়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছেন। উদ্ধব শিবিরের দাবি, মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের সময়কালে একনাথ সহ যে ১৬ বিধায়কের বিরুদ্ধে বরখাস্তের নোটিশ জারি কার হয়েছিল, তাঁরা আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করার জন্য যোগ্য নন।
এর আগে ৩০ জুন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন একনাথ শিন্ডে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। পরে চলতি সপ্তাহের সোমবার আস্থা ভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেন শিন্ডে। সহজেই আস্থা ভোটে জয় পান একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। বিধানসভায় ১৬৪টি ভোট পড়ে একনাথ শিবির ও বিজেপির জোট সরকারের পক্ষে। আঘাড়ির পক্ষে মাত্র ৯৯টি ভোট পড়ে সেদিন। এর আগে রবিবার বিজেপির রাহুল নারবেকরকে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল বিধানসভায়।
এর আগে উদ্ধব ঠাকরে এবং মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ২০ জন বিধায়ক নিয়ে সুরাটে যান একনাথ শিন্ডে। পরবর্তীতে তাঁর শিবিরে আরও বিধায়ক যোগ দেন। বিদ্রোহী বিধায়করা মিলে গুয়াহাটি যান। সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ থাকার পর গোয়াতে পা রাখেন বিদ্রোহী বিধায়করা। দীর্ঘ বিদ্রোহের পর শেষ পর্যন্ত ৩০ জুন মুম্বইতে পা রাখেন একনাথ। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন একনাথ। আর আজ তিনি আস্থা ভোটে জিতে নিজের সংখ্যাবল প্রমাণ করলেন। যদিও বিদ্রোহ চলাকালীন শিন্ডে সহ ১৬ সেনা বিধায়ককে বরখাস্ত করার জন্য উপ-অধ্যক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছিল উদ্ধব শিবির। সেই আর্জি মেনে একনাথদের নোটিশও পাঠানো হয়েছিল। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে। এই আবহে ফের একবার একনাথ সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ উদ্ধব শিবির।