ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
পরিচালক তরুণ মজুমদারের ‘আলো’, ‘চাঁদের বাড়ি’-এর মতো পারিবারিক সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। পরিচালকের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই অভিনেত্রী খুব ভেঙে পড়েছেন। ঋতুপর্ণা বলেন, ‘মন একদম ভালো নেই খবরটা শোনার পর থেকে। তরুণ দার সঙ্গে কাজ করার সব স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে। আমরা প্রথম ছবি করেছিলাম আলো। যেটা দারুণ হিট হয় এবং বাংলা সিনেমায় অন্য এক মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপর চাঁদের বাড়ি করেছি। সম্প্রতি ভালবাসার বাড়ি ছবিটি করেছি। উনি বাংলা সিনেমার স্তম্ভ। ওঁর অবদানের শেষ নেই।’
শ্রীলা মজুমদার
অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার বলেন, ‘তরুণদার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি এমন একজন পরিচালক যাঁর কাছ থেকে কিছু শেখা যায়। এখন সেই ধরনের পরিচালকের খুব অভাব। আমি ভাগ্যবান যে আমি কিছুটা হলেও শিখতে পেরেছি। তরুণ দা পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে গানের ব্যবহার দারুণভাবে করতে পারতেন। তাঁর মৃত্যুতে টলিউডে বিশাল ফাঁক তৈরি হল।’
রঞ্জিত মল্লিক
তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকাহত রঞ্জিত মল্লিক। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত গুণী, অসাধারণ মানুষ, অনেক কিছু শিখেছি ওঁর থেকে। চাঁদের বাড়ি – ছবিতে কাজ করেছি। কাজ করে খুব খুশি হয়েছি। ওঁর সময়কালে আর কেউই তো নেই।’
গৌতম ঘোষ
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আর এক পরিচালক গৌতম ঘোষ তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘অভিভাবক হারালাম। ভেবেছিলাম সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমি তো ফিল্মমেকার, বিগত ৪০ বছর ধরে আমার ব্যক্তিগত পরিচয়। তিনি যেটা করে গিয়েছেন শিক্ষিত বাঙালিদের জন্য পরিচ্ছন্ন ছবি নির্মাণ করে গিয়েছেন এবং বিভিন্ন বিষয় ও স্বাদের ছবি আমরা পেয়েছি।’
প্রসেনজিৎ
পরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে মর্মাহত টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার প্রসেনজিৎ। তিনি বলেন, ‘শেষ মানুষ যাঁকে নিজে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গুরু মানি, তিনি তরুণ মজুমদার। বাংলা ছবির স্তম্ভ ছিলেন তিনি। অনেকেই হয়ত জানেন না আমি ৭-৮ বছর বয়সে তাঁর সঙ্গে প্রথম ছবি করি। এরপর তাঁর পথভোলা আপন আমার আপন ছবিতে অভিনয় করেছি। আমাদের প্রজন্মকে খুব স্নেহ করতেন, তিনি আমাদের শিক্ষক ছিলেন। আজকে সত্যিই মনে হচ্ছে একজন গুরু চলে গেলেন। তবে তরুণ জেঠুর কাজ সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকবে। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন।’
সৌমিলী বিশ্বাস
প্রয়াত পরিচালকের হাত ধরেই সিনেমায় প্রবেশ। সৌমিলী বিশ্বাস বলেন, ‘আমার সিনেমা জগতে পা রাখা তরুণ মজুমদারের হাত ধরে। বাবার মতো বললেও কম বলা হবে আর কি। আলো করতে গিয়ে এত ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে, যেন মনে হচ্ছে পড়াশোনা করতে গিয়ে যেমন স্কুল করেছি তেমনি অভিনয়ের ক্লাস করছি। সবকিছু হত নিয়ম মেনে। তার মধ্যেও অনেক টুকরো টুকরো মজাও উনি করতেন। আলো ছবির সময় তিনি আমার মাথায় হাত দিয়ে বলেছিলেন মা অভিনয়টা কোনওদিন ছেড়ো না।’
(Source: oneindia.com)