আত্মনির্ভর প্রকল্পে নয়া সাফল্য, ১৩ হাজার কোটি টাকার সামরিক সামগ্রী রফতানি করে রেকর্ড ভারতের

আত্মনির্ভর প্রকল্পে নয়া সাফল্য, ১৩ হাজার কোটি টাকার সামরিক সামগ্রী রফতানি করে রেকর্ড ভারতের

পাঁচ বছরে উল্লেখযোগ্য রফতানি বৃদ্ধি

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিরক্ষা উৎপাদন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (ডিডিপি) সঞ্জয় জাজু বলেন, ‘২০২১-২২ সালে আমরা ১৩ হাজার কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম রফতানি করেছি। যা এখনও পর্যন্ত সামরিক সরঞ্জাম রফতানিতে সর্বোচ্চ।’ এই রফতানি পাঁচ বছর আগের তুলনায় প্রায় আটগুন বেড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ভারত ২০২০-২১ সালে ৮,৪৩৪ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম রফতানি করেছিল। ২০১৯-২০ সালে ৯,১১৫ কোটি টাকার, ২০১৫-১৬ সালে ২,০৫৯ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম রফতানি করেছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্র সরকার ২০২০ সালের আগস্টে ২০২৫ সালের মধ্যে বার্ষিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র রফতানি করার লক্ষ্য নেয়। দেশের জন্য ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন করার জন্য কেন্দ্র সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তিনি বলেন, দেশে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে সামরিক অস্ত্র রফতানিতে বেসরকারি সংস্থাগুলো বেশি প্রাধান্য পায়। তবে গত বছর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। রেকর্ড পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম রফতানিতে ৩০ শতাংশ সরকারি সংস্থাগুলো অবদান রেখেছে।

করোনা মহামারীতে প্রতিকূল অবস্থা

প্রতিরক্ষা উৎপাদন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (ডিডিপি) সঞ্জয় জাজু বলেন, ভারত সামরিক সরঞ্জাম বা অস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে সাফল্য পেতে শুরু করেছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর জন্য সামরিক অস্ত্র উৎপাদন বা রফতানি অনেকটা কমে যায়। সেই সময় ভারতের সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্ব মহামারীর কোপে পড়ে। ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু মহামারীর পর ফের আবার ভারত সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন ও রফতানি ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়ায়। ২০২১-২০ সালে রেকর্ড পরিমাণ অস্ত্র রফতানি করে। যা ভারতের সামরিক সরঞ্জাম রফতানির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানিতে ভারতের স্থান

সুইডেন ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক স্টকহোম পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউশন এই বছর মার্চে প্রকাশিত ট্রেন্ডস ইন ইন্টারন্যাশনাল আর্মস ট্রান্সফার ২০২১ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে জানানো হয়, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, আর্মেনিয়ামের সঙ্গে বিশ্বে অস্ত্র রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ভারতকে ২৩ তম স্থানে রাখা হয়েছে। ধীরে ধীরে ভারত অস্ত্র রফতানিতে নিজের জায়গা করে নিচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।