ডায়ানা পেন্টি
ডায়ানা পেন্টি ‘ককটেল’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথম সিনেমায় বলিউডে সাড়া জাগান। অভিনয়ের মধ্য দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। সিনেমায় মীরা নামে একটি সাধারণ ঘরের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রটিতে তার সহ-অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের অভিনয়ও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় দর্শক মহলে। ডায়ানা পেন্টি একটি মডেলিং অ্যাসাইনমেন্টের জন্য এলিট মডেলস ইন্ডিয়া দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে চলচ্চিত্র শিল্পে অভিনেত্রী সেভাবে খ্যাতি অর্জন করতে পারেন নি তিনি। বলিউডের কয়েকটি প্রজেক্টে অভিনেত্রীকে দেখা গেলেও, সেই সংখ্য়া অনেকটাই কম। এমনকি ভালো চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাননি ডায়না। ফলে ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেত্রীর উপস্থিতি তেমন লক্ষ্য করা যায় না।
জারিন খান
২০১০ সালে ‘বীর’ ছবির মধ্যে দিয়ে অভিনেত্রী জারিন খানকে ইন্ডাস্ট্রিতে এনেছিলেন সলমন খান। সলমন খানের উপস্থিতিও ছবিটিতে বক্স অফিসে সফল করতে পারেনি। প্রথম ছবি ব্যর্থ হওয়ার পরে জারিনের বলিউড-যাত্রাও মুখ থুবড়ে পড়ে। অভিনয়জীবনের প্রথম দিন থেকেই জারিনকে তুলনা করা হত ক্যাটরিনা কইফের সঙ্গে। চেহারার দিক থেকেও ক্যাটরিনা এবং জারিনের মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজে পান দর্শকরা। বীর-এর পরে জারিন অভিনয় করেন “রেডি”, “হাউসফুল টু”, “হেট স্টোরি ৩” ছবিতে। বড় ব্যানারের ছবিতে ছোট চরিত্র হলেও জারিনের কেরিয়ারে পালে বাতাস লাগেনি।
আমিশা পটেল
কহো না প্যায়ার হ্যায় – ছবির মাধ্য়মে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করা বলিউড অভিনেত্রী আমিশা পটেলের কেরিয়ার বহু চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তিনি ৪০-এর বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। এর মধ্যে অনেক বিগ বাজেটের ছবিও ছিল। গদর এক প্রেম কথা, ভুলভুলাইয়া, হমরাজ-এর মতো ছবি ছাড়া আমিশার ফিল্ম কেরিয়ার মোটের ওপর অসফলই বলা চলে। কিন্তু, এখন তিনি পর্দা থেকে দূরে রয়েছেন।
লারা দত্ত
২০০৩ সালে ‘আন্দাজ’ ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন লারা দত্ত। বলিউডে বেশ কিছু বছর ধরে বিভিন্ন চরিত্রে দাপিয়ে অভিনয় করেছেন লারা দত্ত । কখনও সিরিয়াস চরিত্রে, কখনও কৌতুক চরিত্রে তাকে দেখা গিয়েছে। বলিউডের প্রথম সারির প্রায় সমস্ত অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। বিখ্যাত টেনিস তারকা মহেশ ভূপতির সাথে বিয়ের পর তিনি “ড্যাডি প্রোডাকশনস” নামে তার নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা খোলেন। তিনি চলো দিল্লী চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছিলেন যা ভাল পর্যালোচনা পাওয়া সত্ত্বেও বক্স অফিসে ভাল ছাপ ফেলতে ব্যর্থ হয়েছিল। এই ব্যর্থতার পর, লারা কোনও বড় বাজেটের সিনেমা বা ব্র্যান্ডের অংশ ছিলেন না।
নার্গিস ফাকরি
২০১১ সালের বলিউডি চলচ্চিত্র রকস্টার অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। চলচ্চিত্রটিতে অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে সকলের নজর কাড়েন। এছাড়াও তার ২০১৩ সালের মাদ্রাজ ক্যাফে ও ২০১৪ সালের ম্যায় তেরা হিরো চলচ্চিত্র তাকে দেখা যায়। নার্গিসকে আজকাল বেশিরভাগ আইটেম গানে দেখা যায়। বলিউডে তেমন কোন ভালো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ না মেলায় বি-টাউনে কম দেখা যায় অভিনেত্রীকে।
দিয়া মির্জা
২০০০ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই জিতে নিয়েছিলেন ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক’-এর খেতাব । এরপর ২০০১ সালে ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ ছবির হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন দিয়া মির্জা। ২০ বছরের সুদীর্ঘ কেরিয়ারে সফল ছবির সংখ্যা কম থাকলেও তার উজ্জ্বল উপস্থিতি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এরপর থাপ্পড়, লগে রহো মুন্নাভাই, পরিণীতা, সঞ্জুর মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি । একাধিক ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন দিয়া। বর্তমানে, তিনি স্বচ্ছ ভারত মিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং একজন সক্রিয় সমাজকর্মী যিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির সাথে জড়িত।
সোহা আলি খান
২০০৪ সালে মুক্তি পায় সোহার প্রথম বাংলা ছবি ‘ইতি শ্রীকান্ত’। সে বছরই মুক্তি পায় তার প্রথম হিন্দি ছবিও। অনন্ত মহাদেবনের পরিচালনায় ‘দিল মাঙ্গে মোর’ ছবি দিয়ে তার আত্মপ্রকাশ বলিউডে। ২০০৫-এ সোহা অভিনয় করেন ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় ‘অন্তরমহল’-এ। এই ছবিতে অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে সোহার অভিনয় প্রশংসিত হয়। এছাড়াও বড় বাজেটের
সিনেমা যেমন রং দে বসন্তি, তুম মিলে-তে দেখা গেছে সোহাকে। এরপরে তেমন কোন ভালো চরিত্রের অফার না মেলায় আভিনেত্রী লেখালেখিতে চলে আসেন এবং এটিকে তার বিকল্প পেশা হিসাবে বেছে নেন।
সেলিনা জেটলি
বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলির চোখের জাঁদুতে কাত ছিল বহু পুরুষ। দীর্ঘদিন ধরেই বড়পর্দা থেকে দূরে রয়েছেন অভিনেত্রী। বলিউড যাত্রাও যে খুব সুখকর ছিল তাও নয়। সেলিনার ২০০১ সালে মিস ইন্ডিয়া টাইটেল জিতেছিলেন। একই বছর মিস ইউনিভার্সে প্রতিযোগিতায় তিনি চতুর্থ রানার-আপ ছিলেন। সেলিনা নো এন্ট্রি, টম ডিস্ক এবং ন্যারি, গোলমাল রিটার্নস ইত্যাদি সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। দুর্ভাগ্যবশত তার ছবিগুলি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে এবং তিনি ইন্ডাস্ট্রি থেকে বেরিয়ে আসেন।
শ্রুতি হাসান
সিনেমায় আত্মপ্রকাশ শৈশবেই। বাবা কমল হাসনের পরিচালনায় তিনি অভিনয় করেন ‘হে রাম’-এ। বড় হয়ে তাকে নায়িকা হিসেবে প্রথম দেখা গিয়েছে ২০০৮ সালে ইমরান খানের বিপরীতে ‘লাক’ ছবিতে। দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে একটি শক্তিশালী ফ্যান-ফলোয়িং রয়েছে অভিনেত্রীর। এছাড়াও তিনি দক্ষিণের একজন শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী কিন্তু বি-টাউনে তেমন সাড়া জাগাতে পারেন নি।
সোনাল চৌহান
সোনাল চৌহান একজন ভারতীয় ফ্যাশন মডেল, সঙ্গীতশিল্পী এবং অভিনেত্রী। তেলুগু এবং বলিউড চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন সোনাল। ইমরান হাসমির বিপরীতে “জান্নাত” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তিনি শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। কিন্তু এরপরেও বলিউডে তেমন কোন ভালো কাজের সুযোগ পাননি অভিনেত্রী। পরবর্তীতে দক্ষিণের বেশ কয়েকটি সিনেমায় দেখা যায় সোনালকে।