মহাকাশে চরে বেড়াবে সাঁতারু রোবট, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বিরাট পরিকল্পনা নাসা’র

মহাকাশে চরে বেড়াবে সাঁতারু রোবট, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বিরাট পরিকল্পনা নাসা’র

সাঁতারু রোবটদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা

বৃহস্পতির ইউরোপা বা শনির চাঁদ এনসেলাডাসের বরফের নীচে যে জল রয়েছে, সেখানে ঢুকে অনুসবন্ধান চালাতে পারে নাসার ওই সাঁতারু রোবট। এবার সাঁতারু রোবটকে এমনভাবেই উন্নীত করা হচ্ছে, তারা মহাকাশের প্রতিটি কোণে কোণে খুঁজতে পারে ভিনগ্রহী এলিয়েনদের। সেইমতোই পরিকল্পনা করে সাঁতারু রোবটদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

মাইক্রো রোবট মহাকাশ বিজ্ঞানে আলোড়ন তুলে দেবে!

মাইক্রো রোবট মহাকাশ বিজ্ঞানে আলোড়ন তুলে দেবে!

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, রোবটগুলিকে বরফের মধ্যে সংকীর্ণ পথ দিয়ে হিমায়িত ভূত্বকে প্রবেশ করতে পারে। সেখানে জমে থাকা জলে ভেসে নতুন বিশ্ব সম্বন্ধে নানা ধারণা দিতে পারে। নাসার জেট প্রপালশান ল্যাবরেটরি-র রোবোটিক্স মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইথান শ্যালর এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই মাইক্রো রোবট তৈরি করেছে। যা সাঁতারু রোবট হিসেবে মহাকাশ বিজ্ঞানে আলোড়ন তুলে দিতে পারে।

বরফভেদকারী যান ক্রায়োবট ফিট রোবটে

বরফভেদকারী যান ক্রায়োবট ফিট রোবটে

ওই রোবটগুলি প্রতিটি প্রায় ১২ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ৬০ থেকে ৭৫ ঘন সেন্টিমিটার আয়তনবিশিষ্ট। এগুলি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে তাদের মধ্যে প্রায় চার ডজন ২৫ সেন্টিমিটার ব্যাসের ক্রোয়াবটে বা বরফভেদকারী যান ফিট করা যেতে পারে। এটি জলে ভেসেও ডেটা সংগ্রহ করতে পারে।

নাসার ইউরোপা ক্লিপার মিশন ২০২৪-এর পরিকল্পনা

নাসার ইউরোপা ক্লিপার মিশন ২০২৪-এর পরিকল্পনা

প্রতিটি রোবটের নিজস্ব প্রপালশন সিস্টেম, অনবোর্ড কম্পিউটার, আল্ট্রাসাউন্ড যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে তাপমাত্রা লবণাক্ততা, অম্লতা এবং চাপের সেন্সর থাকবে। গবেষণার দ্বিতীয় ধাপে বায়োমার্কারের নিরীক্ষণের জন্য রাসায়নিক সেন্সরও থাকবে। নাসার ইউরোপা ক্লিপার মিশন ২০২৪ সালে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

২০৩০ সালের মধ্যে বৃহস্পতির চাঁদের তথ্য টার্গেট নাসার

২০৩০ সালের মধ্যে বৃহস্পতির চাঁদের তথ্য টার্গেট নাসার

নাসা লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে ২০৩০ সালের মধ্যে বৃহস্পতির চাঁদের বিশদ তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে। ইউরোপা প্রোগ্রামের জন্য অ্যাক্সেস মেকানিজম ও অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাঁতারু রোবটগুলি একটি ল্যান্ডারের সঙ্গে সংযোগ করা হবে। ওই ল্যান্ডার পৃথিবীতে মিশন কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে। তবে ক্রায়োবটটি বরফের সমুদ্রের বাইরে যেতে সক্ষম হবে না।

সাঁতারু রোবটের তুলনা ইনগিউনিটি মার্স হেলিকপ্টারের সঙ্গে

সাঁতারু রোবটের তুলনা ইনগিউনিটি মার্স হেলিকপ্টারের সঙ্গে

এই সাঁতারু রোবটকে নাসার ইনগিউনিটি মার্স হেলিকপ্টারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। মঙ্গল গ্রহে ওই হেলিকপ্টার রোভারের আয়ত্তের মধ্যে প্রসারিত করা রয়েছে। তা মঙ্গলের চিত্রগুলি পাঠায় পৃথিবীতে। এ ক্ষেত্রে সাঁতারু রোবট ডেটা পাঠানোর জন্য ক্রায়োবটকে ব্যবহার করছে। ক্রায়োবটের একটা পারমাণবিক ব্যাটারি থাকবে, বরফের মধ্য দিয়ে নীচের দিকে যেতেও সাহায্য করবে তা।

(Source: oneindia.com)