শিয়ালদায় বিশৃঙ্খলা, নারীকল্যাণ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মহিলা সাংবাদিককে ধাক্কা RPF-র

শিয়ালদায় বিশৃঙ্খলা, নারীকল্যাণ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মহিলা সাংবাদিককে ধাক্কা RPF-র

চূড়ান্ত অব্যবস্থা। বিশৃঙ্খলা চরমে। ধাক্কাধাক্কি, মারামারিতে লণ্ডভণ্ড শিয়ালদা মেট্রো স্টেশন।

আজ (সোমবার) ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে আসেন কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। উদ্বোধনের আগে শিয়ালদা স্টেশনে ঘুরে যান। আর তখনই নবনির্মিত শিয়ালদা স্টেশনে দেখা গেল বিশৃঙ্খলার ছবি। আরপিএফের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের মারা, ধাক্কা দেওয়া হল। লাঠি উঁচিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন আরপিএফের আধিকারিকরা। তার জেরে গোটা শিয়ালদা মেট্রো স্টেশনে চরম বিশৃ্ঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।

ঠিক কী ঘটেছিল শিয়ালদা মেট্রো স্টেশনে? আজ হঠাৎই উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা। কিন্তু সেখানে সাংবাদিকদের জন্য কোনও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তারপরও বারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে ওই প্রকল্প সম্পর্কে জানতে গেলে আরপিএফ কর্মীরা বাধা দেন। তা নিয়ে বচসা শুরু হয়। সেই বচসার জেরে এক মহিলা সাংবাদিকের দিকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যান আরপিএফ কর্মীরা। এই ঘটনা দেখে বাকি সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করলে তাঁদেরও ধাক্কা দেওয়া হয়। তাঁদের উপর চিৎকার-চেঁচামেচি করা হয়। এমনকী ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এই ঘটনা দেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অপ্রস্তুত হয়ে গেলেও কোনও শব্দ খরচ করেননি।

তারপর ঠিক কী হল? এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘আপনারা শান্ত হন। আমি এখানে কিছু বলব না। যা বলার আমি হাওড়ায় গিয়ে বলব।’ এরপরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আরপিএফ কর্মীরা কেন মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গে এরকম অভব্য আচরণ করলেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমায় মারবেন না তো। আপনারা দূরত্ব বজায় রেখে আজকের দিনটি উপভোগ করুন।’

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধাক্কাধাক্কিতে কয়েকজন সাংবাদিক আঘাত পেয়েছেন। এই পরিস্থিতি দেখে গাড়িতে উঠে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

(Source: hindustantimes.com)