আশাবুল হোসেন ও মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: জিটিএ ভোটে পাহাড়ে ঘাসফুল ফোটার পর, বিপুল অভ্যর্থনার মধ্যে দার্জিলিং পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাল জিটিএ-র নির্বাচিত সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে পাহাড়বাসী।
সাজো সাজো রব পাহাড়ে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ে গিয়েছেন বহুবার। কিন্তু এবারের সফর যেন আলাদা। গত মাসেই পাহাড়ে GTA’র ভোটে খাতা খুলেছে তৃণমূল। রডোডেনড্রন আর অর্কিডের সাম্রাজ্যে ফুটেছে ঘাসফুল। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম দার্জিলিং সফর। দার্জিলিঙের তৃণমূল নেতা বিন্নি শৰ্মার কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর ঐতিহাসিক সফর। এবার দুহাত তুলে পাহাড়ের মানুষ দিদিকে স্বাগত জানিয়েছে। উনার কাজের জন্য। এবার মানুষের আশীর্বাদ পেয়ে এসেছেন।’’ ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রধান অনীত থাপা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখনই আসেন তখনই আমরা খুশি হই। স্বাগত জানাচ্ছি। পাহাড়ের মানুষ আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছে।’’
মঙ্গলবার ম্যাল চৌরাস্তায় হবে জিটিএ-র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। নির্বাচিত সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন জলপাইগুড়ি ডিভিশনের কমিশনার অজিতরঞ্জন বর্ধন। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জিটিএ-র রাশ হাতে নেওয়া ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রধান অনীত থাপা। সোমবার বিকেলে দার্জিলিং পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকনা, রোহিণী, সোনাদা, ঘুম… মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে একাধিক জায়গায় রাস্তার ধারে পোস্টার, ব্যানার লাগানো হয়েছিল। কার্শিয়ংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানান অনীত থাপা। মুখ্যমন্ত্রীও সবাইকে অভিবাদন জানান।
জিটিএ-র ৪৫টি আসনের মধ্যে ২৭টিতে জয়ী হয়েছে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। আর প্রথমবার জিটিএ ভোটে লড়েই ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৫টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। পাহাড়ের রাজনীতিতে দুই দলের রসায়ন নিয়ে নানা জল্পনা। দার্জিলিং পুরসভার ভোট হয়ে গেলেও, মিরিক, কার্শিয়ং, কালিম্পং এই তিন পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বকেয়া পুরভোট নিয়ে কোনও বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী? দু’দশকের বেশি সময় পঞ্চায়েত ভোট হয়নি পাহাড়ে। সেই ভোট নিয়েও কি কোনও বার্তা দেবেন? প্রায়শই গোর্খাল্যান্ডের দাবি ওঠা পাহাড়ে শান্তি-উন্নয়ন-কর্মসংস্থান নিয়ে কী বলবেন তিনি? রাজনৈতিক মহলের নজর সেই দিকে। অন্যদিকে, কার্শিয়ংয়ের বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, শপথ অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কার্শিয়ঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শৰ্মা বলেন, “আমাকে ডাকেনি। তাই সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পকেট থেকে হয়েছে জিটিএ ইলেকশন। রাজ্যের মর্জিমাফিক ভোট হয়েছে।’’ বুধবার নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মদিন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
(Source: abplive.com)