5G এয়ারওয়েভের নিলামে অংশগ্রহণ আদানি গ্রুপের। আগামিদিনে দেশের টেলিকম সেক্টরে অন্যতম নাম হয়ে উঠতে পারে আদানির সংস্থা। আর সেটা যে জিও, ভি ও এয়ারটেলের জন্য সহজ হবে না, তা বলাই বাহুল্য।
ভারতের বর্তমান তিন টেলিকম সংস্থা পরিষেবা এবং এয়ারওয়েভ লিজিং থেকে সম্ভাব্য আয় হারাতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওয়াকিবহাল সূত্রে খবর, গৌতম আদানি দামি ৩.৩-৩.৬৭ GHz এবং সস্তার ২৬ GHz ব্যান্ড, উভয় ক্ষেত্রেই 5G এয়ারওয়েভের জন্য রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেল-এর সঙ্গে একটি সম্ভাব্য বিডিং যুদ্ধে নামবে।
সেটা হলেই ধুঁকতে থাকা ভোডাফোন আইডিয়া আরও চাপে পড়ে যাবে। রিলায়েন্স, আদানি গোষ্ঠীর মতো বিশ্বের অন্যতম বড়, ধনী সংস্থার সঙ্গে নিলামের লড়াইে এঁটে ওঠা ভোডাফোন-আইডিয়ার পক্ষে সহজ হবে না।
‘৫জি ব্যবসায় বড়সড় ক্ষতি এড়াতে, বর্তমান অপারেটরদের তাদের অটোমেশন এবং পরিষেবার গুণমান, উদ্ভাবন এবং দাম নির্ধারণের বিষয়ে খুব সচেতন হতে হবে,’ বলেসেন ময়ুরেশ জোশি। ময়ুরেশ মার্কিন ব্রোকারেজ উইলিয়াম ও’ নিল অ্যান্ড কো এন্টারপ্রাইজ সার্ভিসের ভারতীয় ইউনিটের বিশ্লেষক।
আদানির প্ল্যানটা কী?
শনিবার আদানি গ্রুপ বলেছে যে, তারা উপভোক্তা পরিষেবার ব্যবসায় প্রবেশ করতে চায় না। তবে বিমানবন্দর, বন্দর, লজিস্টিক্স, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বন্টন এবং উত্পাদন ক্ষেত্রে উন্নত সাইবার নিরাপত্তাসহ ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক প্রদানের ব্যবসায় নামতে চায়। আর সেই জন্যই তারা আসন্ন 5G স্পেকট্রামের নিলামে অংশগ্রহণ করবে।
তারা এটাও স্পষ্ট করেছে যে, গ্রামীণ অঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং দক্ষতা উন্নয়নে আদানি ফাউন্ডেশন এগিয়ে আসতে চায়। এই 5G-র মাধ্যমে সমাজসেবার কাজেও তারা অবদান রাখতে চায়।
অর্থাত্ অদূর ভবিষ্যতে আদানি গ্রুপের কোনও সংস্থার সিম দেখার কোনও আশা না করাই ভালো।