#নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ব্যান হয়ে গেল Oppo এবং OnePlus স্মার্টফোন! জার্মানিতে একাধিক আইনি মামলায় জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যান হতে চলেছে Oppo। Nokiamob.net-এর এক রিপোর্ট অনুযারে, জার্মানির ম্যানহিম আঞ্চলিক কোর্টে হেরে গিয়েছে Oppo।
Oppo-র বিরুদ্ধে করা ওই কেসে কোর্ট রায় দিয়েছে Nokia-র পক্ষে। শুধু Oppo নয়, OnePlus-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল Nokia। ফিনল্যান্ড ভিত্তিক Nokia কোম্পানির চিন ভিত্তিক এই দুই স্মার্টফোন কোম্পানি Oppo এবং OnePlus-এর সঙ্গে এক চুক্তি নিয়ে মতান্তর হলে একই সঙ্গে চারটি দেশে মামলা দায়ের করে Nokia।
শেষ পর্যন্ত কোর্টের রায় প্রকাশ পেতেই ঘুম ছুটে গিয়েছে ওই দুই কোম্পানির। জার্মানির এক আঞ্চলিক কোর্টে রায় ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে জার্মানিতে এখন থেকে Oppo এবং OnePlus-এর কোনও স্মার্টফোন বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত।
তবে একেবারেই বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না Oppo এবং OnePlus-এর। আপাতত কোর্ট জানিয়েছে, Nokia-র ইউরোপিয়ান পেটেন্ট EP 17 04 731-এর কোনও স্মার্টফোন বিক্রি করা যাবে না জার্মানিতে।
Nokia-র তরফে একটি টেকনোলজিক্যাল পেটেন্ট বসানো হয়েছিল যা ওয়াই-ফাই কানেকশন স্ক্যানিংয়ের জন্য ব্যবহার জন্য হত। ওই পেটেন্টকে অমান্য করার অভিযোগে Nokia এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে Oppo এবং OnePlus-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
এর মধ্যে রয়েছে ভারত, ইউকে, জার্মানি এবং ফ্রান্সের মতো দেশ। Nokia-র তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে Oppo এবং OnePlus-এর ডিভাইসে কোনও রকম অনুমতি না নিয়ে Nokia-র পেটেন্ট টেকনোলজিকে ব্যবহার করছিল তাদের ডিভাইসে।
CNBC-র এক রিপোর্ট অনুসারে, Oppo এতদিন ধরে বিনা অনুমতিতেই Nokia-র স্ট্যানশার্ট এসেন্সিয়াল পেটেন্টটি এবং নন-পেটেন্ট ইউআই/ ইউএক্স ছাড়াও নানান সিকিউরিটি ফিচার ব্যবহার করে আসছিল।
পেটেন্ট নিয়ে এই দুই কোম্পানির মধ্যে পুরনো চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও Oppo একইভাবে Nokia-র পেটেন্ট ব্যবহার করে যাচ্ছিল। এই দুই কোম্পানি গত নভেম্বর, ২০১৮-তে যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল তা শেষ হয় গতবছর জুন, ২০২১ মাসে।
Nokia-র তরফে জানানো হয়েছে, বারে বারে তার কোম্পানির সঙ্গে লাইসেন্স রিনিউয়ালের বিষয়ে আলোচনা করলেও কোনও সাড়া পাননি। অন্য দিকে, Oppo জানিয়েছে তারা নিজেদের সীমারেখার মধ্যে থেকেই যাবতীয় কাজ করেছে।
এই ঘটনায় তারা হতবাক, তবে খুব শীঘ্রই Oppo-র তরফেও Nokia-র বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে চিন এবং ইউরোপে।