এক সেতুতে জুড়বে গঙ্গাসাগর, খরচ হবে দেড় হাজার কোটি টাকা

এক সেতুতে জুড়বে গঙ্গাসাগর, খরচ হবে দেড় হাজার কোটি টাকা

সুমন ঘড়াই, কলকাতা: আর নদী পেরনোর সমস্যা থাকবে না। এবার এক সেতুতেই মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে যাবে গঙ্গাসাগর (Gangasagar)। ওই সেতু বানানোর পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার।

কোথায় তৈরি সেতু:
কাকদ্বীপ থেকে সাগরদ্বীপ (Sagar Island) পর্যন্ত মুড়িগঙ্গা নদীর উপর তৈরি হবে ৪ লেনের ব্রিজ। গোটা কাজটি করতে খরচ হবে ১ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা।

গঙ্গাসাগর ভারতের অন্য়তম উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থান। প্রবাদ রয়েছে, ‘সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার’। প্রতিবছর গঙ্গাসাগরে স্নান করতে এবং কপিল মুনির আশ্রমে পুজোর দেওয়ার জন্য ভিড় করেন লক্ষাধিক পুণ্য়ার্থী। তাদের যাতায়াতের পথে পড়ে মুড়িগঙ্গা। সেই নদী পেরিয়ে পৌঁছতে হয় গঙ্গাসাগরে। মাঝরাস্তায় নদী থাকায় যাতায়াত একেবারে মসৃণ হয় না। এবার সেই সমস্যা কাটাতে ওই নদীর উপরই এবার তৈরি হচ্ছে ৪ লেনের ব্রিজ।

সেতুর খুঁটিনাটি:
কাকদ্বীপ থেকে সাগরদ্বীপ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার লম্বা হবে এই ব্রিজ (Bridge)। মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর আড়াই কিলোমিটার ও পার্শ্ববর্তী রাস্তা তৈরি হবে ২ কিলোমিটার। ব্রিজ নির্মাণে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, hybrid annuity model-এ তৈরি হবে এই ব্রিজ। অর্থাৎ, নির্মাণকারী বেসরকারি সংস্থাকে ব্রিজ তৈরির শুরুতে ৪০ শতাংশ টাকা দেবে রাজ্য। বাকি ৬০ শতাংশ টোল ট্যাক্স থেকে তুলে দেওয়া হবে। পরিকল্পনা থেকে তদারকি করবে পূর্ত দফতর। দুই বছরের মধ্যে সেতুর তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

এই কাজেও সামনে এসেছে কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধ। রাজ্যের দাবি, কেন্দ্রকে একাধিকবার অনুরোধ জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই এবার রাজ্য নিজেই গঙ্গাসাগর যাওয়ার ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এই অভিযোগের বিরোধিতা করেছে রাজ্য বিজেপি।

এর আগেও নানা অভিযোগ:
কখনও গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা করার দাবি। কখনও আবার গঙ্গাসাগরে যাওয়ার জন্য সেতু তৈরির দাবি। গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর আগে একবার তিনি বলেছিলেন, ‘কুম্ভের মতো গঙ্গাসাগরও আমাদের জাতীয় মেলা হোক। কুম্ভমেলার সব টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেয়। এখানে এক টাকাও দেয় না। কুম্ভমেলা সুয়োরানি হলে, গঙ্গাসাগর কি দুয়োরানি? কেন্দ্রকে বলা হচ্ছে, সেতু তৈরির জন্য, কেন্দ্র বলেছিল তাজপুর বন্দরের ৭৪ শতাংশ দিলে, সেতু করে দেব। আমরা দিলাম কিন্তু কেন্দ্র কোনও উত্তর দিচ্ছে না।’