ভারতের কোন কোন মন্দিরে আমিষ প্রসাদ? ভক্তরা খুশি মাছ-মাংস থেকে বিরিয়ানিতে

ভারতের  কোন কোন মন্দিরে আমিষ প্রসাদ?  ভক্তরা খুশি মাছ-মাংস থেকে বিরিয়ানিতে

তামিলনাড়ুর মুনিয়ান্দি স্বামীর মন্দির

তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের ভাদাক্কামপট্টি গ্রামের মুনিয়ান্দি স্বামীর মন্দিরে ৩ দিনের বাৎসরিক উৎসবে প্রসাদ হিসেবে চিকেন ও মাটন বিরিয়ানি দেওয়া হয়। মুনিয়ান্দি স্বামীর মন্দির হল মুনিশ্বর, যা শিবের অবতার হিসেবে পরিচিত।

 ওড়িশার বিমলা মন্দিরে মাছ ও মাটন

ওড়িশার বিমলা মন্দিরে মাছ ও মাটন

বিমলা হলেন দুর্গার অবতার। বিমলা মন্দির পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কমপ্লেক্সে অবস্থিত। সেখানে পুজোয় মাছ ও মাংস নিবেদন করা হয়। দুর্গাপুজোর সময় মার্কন্দা মন্দিরের ভিতরে থাকা পুকুর থেকে মাছ তুলে রান্না করে বেদী বিমলাকে নিবেদন করা হয়। এছাড়াও সেখানে যে ছাগল বলি দেওয়া হয়, তাও রান্না করে নিবেদন করা হয়। তবে সবই হয় জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান দরজা খোলার আগে।

 উত্তর প্রদেশের তারকুলহা দেবীর মন্দিরে মাটন

উত্তর প্রদেশের তারকুলহা দেবীর মন্দিরে মাটন

উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের তারকুলহা দেবীর মন্দিরে মাটন দেবীর উদ্দেশে নিবেদন করা হয়। এই মন্দিরে মানুষের ইচ্ছা পূরণ হয় বলে জনশ্রুতি। দেশ-বিদেশের বহু মানুষ সেখানে যান এবং মনোবাসন পূরণের জন্য দেবীর কাছে ছাগল নিবেদন করেন। তারপর তা রান্না করা হয় এবং ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়।

কেরলের প্যারাসিনিক কাদাভু মন্দিরে মাছ ও টডি

কেরলের প্যারাসিনিক কাদাভু মন্দিরে মাছ ও টডি

কেরলের প্যারাসিনিক কাদাভু মন্দির, যেখানকার দেবতা ভগবান বিষ্ণু এবং শিবের অবতার রূপে পরিচিত। সেখানে ভগবানের উদ্দেশে টডির সঙ্গে পোড়া মাছ নিবেদন করা হয়। জনশ্রুতি এটা করলে ইচ্ছাপূরণ হয়। মন্দিরা যাওয়া ভক্তদের তা প্রসাদ হিসেবেও দেওয়া হয়।

পশ্চিমবঙ্গের কালীঘাটের কালী মন্দিরে মাংস

পশ্চিমবঙ্গের কালীঘাটের কালী মন্দিরে মাংস

কালীঘাটের মন্দির ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম। সেখানে মা কালীকে খুশি করার জন্য ভক্তরা ছাগল বলি দিয়ে থাকেন। যা রান্নার পরে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির

দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরে দেবীকে ভোগে মাছ নিবেদন করা হয়। পরে তা ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। তবে দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরে কোনও পশু বলি দেওয়া হয় না।

 পশ্চিমবঙ্গের তারাপীঠের কালী মন্দির

পশ্চিমবঙ্গের তারাপীঠের কালী মন্দির

বাংলায় কালী ভক্তরা যেসব জায়গায় যান তার মধ্যে বীরভূমের তারাপীঠের মন্দির উল্লেখযোগ্য। সেখানে দেবীর উদ্দেশে মাংস এবং মদ উৎসর্গ করা হয়। পরে তা ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

অসমের কামাক্ষা মন্দিরে মাছ-মাংস

অসমের কামাক্ষা মন্দিরে মাছ-মাংস

৫১ টি শক্তিপীঠের অন্যতম হল অসমের কামাক্ষা মন্দির। সেখানে দু-ধরনের ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীর উদ্দেশে, নিরামিষ ও আমিষ। আমিষের মধ্যে থাকে ছাগলের মাংস। যা পেঁয়াজ-রসুন না দিয়েই রান্না করা হয় এবং দেবীকে নিবেদন করা হয়। পরে ভক্তদের প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়। ভোগ নিবেদনের সময় মন্দিরের প্রধান দরজা বন্ধ থাকে।

(Source: oneindia.com)