হস্তিশাবককে বাঁচাতে চ্যালেঞ্জ, ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু ‘মা’-কেও সিপিআর তাইল্যান্ডের বনকর্মীদের

হস্তিশাবককে বাঁচাতে চ্যালেঞ্জ,  ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু ‘মা’-কেও সিপিআর তাইল্যান্ডের বনকর্মীদের

ব্যাঙ্কক: কথায় বলে হাতি (elephant) কাদায় পড়লে ছুঁচোতেও…নাহ। এক্ষেত্রে অবশ্য সেরকম হয়নি। বরং নাকানিচোবানি খেয়েও কাদায় পড়া হাতির ছানাকে উদ্ধার করেছেন বন দফতরের কর্মীরা (forest department)। চ্যালেঞ্জ নিয়ে শাবককে (calf) মিলিয়ে দিয়েছেন মায়ের সঙ্গেও। তাইল্যান্ডের (thailand) ঘটনা। গোটা পর্বের ভিডিও ভাইরাল সোশ্য়াল মিডিয়ায়।

নাটকীয় উদ্ধার

    • নিকাশির জন্য কাটা পরিখায় পড়ে যায় হস্তিশাবক
    • কাছেই দাঁড়িয়ে তার মা উৎকণ্ঠায় দিশাহারা হয়ে পড়ে
    • মাকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করেন বনদফতরের কর্মীরা
    • তার পর উদ্ধার হস্তিশাবক
    • অজ্ঞান হওয়ার আগে মাথায় চোট লেগেছিল হস্তিনীর
    • সিপিআর দিয়ে তারও জ্ঞান ফেরানো হয়

কী হয়েছিল? 

নাখোন নায়োক প্রদেশের রয়্যাল গলফ কোর্সের বাইরে নিকাশির জন্য় একটি পরিখা (trench)কেটেছিল স্থানীয় প্রশাসন। সেখানেই কোনও ভাবে পড়ে গিয়ে ভয়ঙ্কর চিৎকার জোড়ে একটি হস্তিশাবক। সঙ্গে তার মা-ও ছিল। উৎকণ্ঠার ছাপ স্পষ্ট পূর্ণবয়স্ক হস্তিনীটির আচার-আচারণেও। সন্তানকে কী করে বাঁচাবে, ঠাওর করতে পারছিল না সে। এদিকে বার বার চেষ্টা করে গভীর পরিখা থেকে উঠতে পারছিল না হস্তিশাবকটি। ঘটনাচক্রে ওই সময়েই পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। বিষয়টি নজরে আসতেই বন দফতরে খবর দেন তিনি।

কী ভাবে উদ্ধার?

‘খাও ইয়াই ন্যাশনাল পার্ক’-র বনকর্মীরা তার পর আর দেরি করেননি। কিন্তু পরিখায় পড়ে যাওয়া হস্তিশাবকটির কাছে যাওয়ারই সাহস পাচ্ছিলেন না তাঁরা। হস্তিনী মা উৎকণ্ঠায় তখন দিশাহারা। অতঃকিম? অবশেষে ঘুমপাড়ানি গুলির তিনটি ডোজ দিয়ে কাবু করা হয় তাকে। তার পর ক্রেনে করে সরানো হয় হস্তিনীকে। এর পর হস্তিশাবক উদ্ধার। সেটাও সহজে হয়নি। কাদায় পিছলে গিয়ে বার বার পড়ে যাচ্ছিল সে। তবে হাল ছাড়েননি বনকর্মীরা। শেষমেশ বের করা হয় তাকে। কিন্তু ঘুমপাড়ানি ওষুধের ডোজে কাবু হয়ে পড়ে যাওয়ার আগে মাথায় চোট পেয়েছিল হস্তিশাবকটির মা। তাকেও সিপিআর দিতে হয় বনকর্মীদের। তবে শেষমেশ সব ঠিক হয়ে যায়। মা-শিশুকে মিলিয়ে দেন বনকর্মীরা।

বন্যেরা বনে ফিরেও যায়…অক্ষত। তবে তাদের বাঁচাতে এতগুলো মানুষ যা করলেন তা কিন্তু রয়ে গিয়েছে। যাবেও।