ভারতীয় বোর্ডে সৌরভের ভবিষ্যৎ কী, সিদ্ধান্ত হয়তো আগামী সপ্তাহে

ভারতীয় বোর্ডে সৌরভের ভবিষ্যৎ কী, সিদ্ধান্ত হয়তো আগামী সপ্তাহে

কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে (BCCI) সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-জয় শাহদের (Sourav Ganguly and Jay Shah) ভবিষ্যৎ কী? জানতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল বোর্ড।

বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব জয় শাহর মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনের দ্রুত শুনানির জন্য পুনরায় আবেদন জানাল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গত দু’বছর ধরে শীর্ষ আদালতে ঝুলে রয়েছে বিষয়টি।

২০২০ সালে মে মাসে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহর ভবিষ্যৎ এবং সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে বিসিসিআই। তবে গত বছর ১৬ এপ্রিল শেষবার বিষয়টি উত্থাপিত হয় শীর্ষ আদালতে। বিসিসিআইয়ের তরফে আইনজীবী পিএস পটওয়ালিয়া প্রধান বিচারপ্রতি এনভি রামান্না ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চে বোর্ডের আবেদন পৌঁছে দেন। উল্লেখ্য, শেষবার মামলিটি শুনানি হয়েছিল বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের তত্ত্বাবধানে, যিনি এবছর জুনে অবসর নিয়েছেন।

বোর্ডের আবেদনে শীর্ষ আদালত সাড়াও দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি রামান্না জানিয়েছেন যে, মামলাটি নথিভূক্ত করা গেলে আগামী সপ্তাহেই শুনানি হবে।

২০১৯ সালের অক্টোবরে সৌরভ ও জয় শাহ ভারতীয় বোর্ডের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁদের হাতে মেয়াদ ছিল মাত্র ৯ মাসের। সৌরভ বোর্ড প্রেসিডেন্ট হন। জয় শাহ হন সচিব। কিন্তু লোঢা কমিটির সুপারিশে তৈরি বোর্ডের নতুন সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হলেই দু’জনকে বাধ্যতামূলক কুলিং অফ পিরিয়ডে চলে যেতে হতো। তবে বিসিসিআইয়ের তরফে শীর্ষ আদালতে সভাপতি ও সচিবের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে পিটিশন দায়ের করা হয়, যার এখনও কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় সৌরভ ও জয় শাহকে।

প্রসঙ্গত, সৌরভ ২০১৪ সাল থেকে ক্রিকেট প্রশাসনে। সিএবি সচিব হিসাবে যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর। পরে জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পর সিএবি প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ২০১৩ সাল থেকে গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার পদাধিকারী জয় শাহ। বোর্ডের নতুিন সংবিধান অনুযায়ী, কোনও কর্তা টানা ৬ বছর পদাধিকারী থাকতে পারেন। তারপর তাঁদের ৩ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতেই হয়। কুলিং অফ পিরিয়ড শেষ হলে ফের তিন বছরের জন্য রাজ্য বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোনও পদে ফের বসতে পারবেন কোনও ক্রিকেট কর্তা। সব মিলিয়ে ৯ বছর অতিক্রান্ত হলে কেউই আর ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এই নিয়মের সংশোধন চেয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বোর্ড।