মহাপ্রলয় ধেয়ে আসছে পৃথিবীতে, বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে

মহাপ্রলয় ধেয়ে আসছে পৃথিবীতে, বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে

ব্যাক্টেরিয়া ও বিষাক্ত শৈবাল বাড়ছে দ্রুত গতিতে

বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণায় জানতে পেরেছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে শুধু সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে না। সহস্র ব্যাক্টেরিয়া ও বিষাক্ত শৈবাল বাড়ছে দ্রুত গতিতে। পৃথিবীতে তিনভাগ জল, একভাগ স্থল। সেই তিনভাগ জলরাশি যদি এভাবে শৈবাল ও ব্যাক্টেরিয়ায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়, তাহলে পৃথিবীতে মহাপ্রলয় আসন্ন।

বিনাশ কালের শুরু হয়ে গিয়েছে পৃথিবীতে

বিনাশ কালের শুরু হয়ে গিয়েছে পৃথিবীতে

বিজ্ঞানীদের ধারণা, পরিস্থিতি বলছে আগামী বিনাশ কালের শুরু হয়ে গিয়েছে। পৃথিবীতে এমন বহুবার সাময়িক বিনাশ ঘটেছে, তারপর নতুন করে গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবারও সেই সম্ভাবনা প্রকট। বিশ্বেস সমস্ত সমুদ্র, নদী ও হ্রদ থেকে তেমনই আভাস মিলতে শুরু করেছে সমুদ্র তথা ভু-বিজ্ঞানীদের মধ্যে।

সমুদ্র থেকে নদী, হ্রদ-সহ সমস্ত জলাশয় প্রাণনাশক

সমুদ্র থেকে নদী, হ্রদ-সহ সমস্ত জলাশয় প্রাণনাশক

গবেষণায় জানা গিয়েছে, শেষবার পৃথিবীর সবথেকে ভয়াবহ প্রলয় এসেছিল ২৫.২ কোটি বছর আগে। একটা যুগের অবসান হয়েছিল। গোটা বিশ্ব তখন দাবানল, মাত্রাতিরিক্ত গরম, বিষাক্ত শৈবাল ও নানা ব্যাক্টেরিয়ায় ছেয়ে গিয়েছিল। সমুদ্র থেকে নদী, হ্রদ-সহ সমস্ত জলাশয় প্রাণনাশক হয়ে গিয়েছিল। দ্রুত কমে গিয়েছিল বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা।

পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে

পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে

ওই বিনাশকালে খুবই সামান্য প্রাণী বেঁচে যায়। পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় প্রায় ৭০ শতাংশ প্রজাতি। সমুদ্রে০ ৮০ শতাংশ জীবের সম্পূর্ণ বিনাশ ঘটে। সেই প্রলয়কে বিজ্ঞানীরা দ্য গ্রেট ডায়িং বলে অভিহিত করেছেন। সেই মহাপ্রলয়ের প্রমাণও মিলেছে বলে বিজ্ঞানীরা দাবি করেন। বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে অতীতে মহাপ্রলয় নিয়ে অনুসন্ধানে রত গবেষক তথা বিজ্ঞানীরা মনে করছেন পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে। বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এর আগে প্রলয়ের সময়।

বাস্তুতন্ত্র ঘেঁটে গিয়ে প্রাণীকূল ধ্বংস হতে থাকবে

বাস্তুতন্ত্র ঘেঁটে গিয়ে প্রাণীকূল ধ্বংস হতে থাকবে

এখনও গোটা বিশ্বজুড়ে সমুদ্র, নদী, হ্রদে বিষাক্ত শৈবাল জমা হচ্ছে। ব্যাকটেরিয়া গ্রাস করছে জলরাশিকে, দ্রুত কমছে অক্সেজিনের মাত্রা। এর ফলে বাস্তুতন্ত্র ঘেঁটে গিয়ে প্রাণীকূল ধ্বংস হতে থাকবে। বিলুপ্ত হয়ে যাবে অনেক প্রজাতি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা ভয়াবহ রূপ নেবে। এখন বহু ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাবে মহাপ্রলয়ের।

শীতপ্রধান অঞ্চলে দাবানল হচ্ছে এখন

শীতপ্রধান অঞ্চলে দাবানল হচ্ছে এখন

সম্প্রতি দাবানলের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্ব দাবানলের প্রদাহে জ্বলছে। আমেরিকা থেকে শুরু করে ভারত, আর রাশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন অংশে তার প্রমাণ গত এক বছরের বহুবার মিলেছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্যই যে প্রকৃতির রোষে পড়ছে পৃথিবীর প্রাণীকুল তথা জীবকুল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দাবানের জেরে জঙ্গল সাফ হয়ে যাচ্ছে। ফলে অক্সিজেন কমতে তো বাধ্য। তারপর সাইবেরিয়ার মতো শীতপ্রধান অঞ্চলে দাবানল হচ্ছে, আবার ইংল্যান্ডে চিরকাল ঠান্ডা, সেখানেও চলছে তাপপ্রবাহ।

(Source: oneindia.com)