মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর! রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে জোর বিতর্ক

মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর! রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে জোর বিতর্ক

রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক

আজ বিমানবন্দরে লা গণেশনকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও সুজিত বোস। সন্ধ্যায় রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়, রাজ্যের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য। প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। বাংলার নতুন রাজ্যপালকে শপথবাক্য পাঠ করান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। মুখ্যমন্ত্রী হলুদ ফুলের স্তবক দিয়ে স্বাগত জানান নতুন রাজ্যপালকে।

নিশানা মমতাকে

তবে এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই শুভেন্দু অধিকারী নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। টুইটে তিনি ট্যাগ করেন সদ্যপ্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও। এদিনই বাংলার রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এনডিএ জোটের উপ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন ধনখড়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা টুইটে লেখেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল লা গণেশনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রাজভবনে আয়োজন করেছিল নবান্ন। আহ্বায়ক ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি বিরোধী দলনেতাকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাননি। তবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনদের।

রাজ্যপালকে সহযোগিতার আশ্বাস

এর আগে, অবশ্য আজ সকালেই টুইট করে নতুন রাজ্যপালকে স্বাগত জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইটে লেখেন, মণিপুরের পাশাপাশি বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে লা গণেশন যে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন তাতে বিরোধী দলনেতা হিসেবে পূর্ণ সহযোগিতা তিনি করবেন। যদিও সৌজন্যকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে হারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ্য হচ্ছে না বলেও বারবারই বলে থাকেন শুভেন্দু অধিকারী।

রাজনৈতিক চাপানউতোর

স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অনেকেই বিরোধী দলনেতার টুইটে মন্তব্য করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় বিভিন্ন সময় এভাবেই অসৌজন্যই প্রকট হচ্ছে। কারও মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় ন্যূনতম সৌজন্য প্রত্যাশা করা উচিত নয়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মণিপুরের রাজ্যপালকে বাংলার রাজ্যপালের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি স্থায়ী রাজ্যপাল হবেন না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আজ হয়েছে। ফল ঘোষণা ২১ জুলাই। এরপর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনও রয়েছে। তারপর বাংলার জন্যই কাউকে রাজ্যপাল করা হতে পারে। দৌড়ে রয়েছেন মুক্তার আব্বাস নকভি। এদিন তাঁকে বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য ভুল করে শুভেচ্ছা জানিয়ে বসেছিলেন এক বিজেপি সাংসদ। পরে টুইট তিনি ডিলিট করলেও সেই টুইটটিই ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন অনেকে।

(Source: oneindia.com)