#কলম্বো: শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে সাম্প্রতিকতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন খাতে গড়ায় এখন নজর রয়েছে সে দিকে। তার মধ্যেই রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘের পাশাপাশি উঠে আসছে এক নতুন নাম, অনুরা কুমার দিসানায়কে। তিনি নাকি ক্রমে ধূমকেতুসম গতিতে শ্রীলঙ্কার ক্ষমতা দখলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দল শ্রীলঙ্কার পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট ইতিমধ্যে হৃদকম্প ধরিয়েছে বাকি সংসদীয় দলগুলির শিড়দাঁড়ায়।
এক দিকে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি পদের জন্য লড়ছেন রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে ও ডালাস আলফাপ্পেরুমা। তৃতীয় শক্তি হিসাবে ক্রমে সামনের সারিতে চলে আসছেন দিসানায়েকে। বয়সে কম ও কার্যত মিলিটারি জনযুদ্ধের কায়দায় শিক্ষিত এই মানুষটি সরাসরি সাংবাদিকদের বলছেন, মাত্র ছ’মাসের মধ্যে তিনি দেশকে এই অর্থনৈতিক সঙ্কটের ভিতর থেকে টেনে তুলে আনতে পারবেন। মাত্র ৫৩ বছর বয়সেই এই বিপুল উত্থান চমকে দিচ্ছে শ্রীলঙ্কার মানুষকে।
সে দেশের বামপন্থী সংগঠন সিংহলী ভাষায় যাকে ডাকা হয় জনতা বিমুক্তি পেরামুনায় নামে, সেই পার্টির সপ্তম কনভেনশনে তিনি দলের সর্বাধিনায়ক নির্বাচিত হন, ২০১৪ সালে। তবে তিনি পার্লামেন্টে আঠছেন ২০১৪ সাল থেকেই। চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার সময় তিনি কৃষি দফতরের মন্ত্রি হিসাবেও কাজ করেছেন। এর পর ২০১৯ সালে তিনি ন্যাশনাল পিপিলস পাওয়ার পার্টির হয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াই করেন। সেখানে বাজে ভাবে হারের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তিনি মোট ভোটের মাত্র ৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। তারপর থেকে দলের পরিবর্তন হয় অনেক। সেই তিনিই এ বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অঙ্গনে এনেছেন এক নতুন রঙ।