#দিল্লি: প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে৷ জনরোষে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি- প্রধানমন্ত্রী৷ সবমিলিয়ে সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সঙ্কটে রীতিমতো বিপর্যস্ত দ্বীপ রাষ্ট্রটি৷
এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধি সহ দেশের বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাই আশঙ্কা প্রকাশ করে অভিযোগ করছেন, অদূর ভবিষ্যতে ভারতেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷
এ দিন দিল্লিতে এক সর্বদলীয় বৈঠকে অবশ্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিরোধীদের এই আশঙ্কাকে অমূলক বলেই দাবি করলেন৷ যদিও শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি যে ভারতের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক, সেকথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি৷
সর্বদল বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ছাড়াও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী উপস্থিত ছিলেন৷ অন্যদিকে বিরোধীদের তরফে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম এবং মনিকাম টেগোর, তৃণমূলের সৌগত রায়, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, ন্যাশনাল কনফারেন্সের শরদ পাওয়ার, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার এবং ডিএমকে-র টি আর বালু এবং এম আবদুল্লাহরা উপস্থিত ছিলেন৷
বিরোধীদের উদ্দেশে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় যা ঘটছে তা অনেক দিক দিয়েই নজিরবিহীন৷ এটা অত্যন্ত গুরুতর একটি সঙ্কট৷ এই কারণেই আমরা এ বিষয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছি৷’ এস জয়শঙ্কর আরও বলেন, ‘যেহেতু আমাদের একেবারে প্রতিবেশী একটি দেশে এই পরিস্থিতি হয়েছে, স্বাভাবিক ভাবে তার পরিণতির জের আমাদের উপরে এসে পড়ারও আশঙ্কা থাকে৷’
যদিও বিদেশমন্ত্রী দাবি করেছেন, কিছু ভুল তথ্য তুলে ধরে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের তুলনা টেনে একই ধরনের সঙ্কট এই দেশেও আসতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে কোনও কোনও মহল থেকে৷ শ
শ্রীলঙ্কা গত কয়েক দশকের মধ্যে সবথেকে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে৷ দেশের বিদেশী মুদ্রার ভান্ডার তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ ফলে খাবার, ওষুধ, জ্বালানির মতো অত্যাবশ্যকীয় জিনিসও আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না৷ এই অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকেই শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে৷ শেষ পর্যন্ত দেশের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট জরুির অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন৷
এই অবস্থায় তামিলনাড়ুর দুই দল এআইডিএমকে এবং ডিএমকে সংসদের বাদল অধিবেশন চলাকালীন শ্রীলঙ্কার সঙ্কট নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছিল সরকারের কাছে৷ পাশাপাশি, অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ভারত যাতে শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করে, সেই দাবিও তুলেছে দক্ষিণের এই দুই দল৷