বাগবাজারে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা একটি ঘর থেকে উদ্ধার রহস্যময় বস্তা। আর সেই বস্তা খুলতেই বেরিয়ে এল গ্রেনেড বা মাইন জাতীয় সামগ্রী। প্রশ্ন উঠছে সরকারি মেডিকেল স্টোরের বন্ধ ঘরের মধ্যে এই সব সামগ্রী এল কোথা থেকে? সূত্রের খবর স্বাস্থ্য দফতরের আওতায় ঘরটি রয়েছে। সেই ঘরের এককোণে পড়েছিল বস্তাটি। ঘরটি পরিষ্কার করার জন্য়ই জিনিসপত্রগুলি সরানো হয়েছিল। তবে এই ঘরটি সম্ভবত বহুকাল আগে অন্য় কোনও বিভাগের আওতায় ছিল।
সূত্রের খবর ঘরে মধ্যে দেখা যায় একটি বস্তা পড়ে রয়েছে। সেই বস্তা খুলতেই চোখ ছানাবড়া। সেই বস্তার মধ্য়ে একেবারে গ্রেনেডের মতো দেখতে সামগ্রী রয়েছে। মাইন জাতীয় সামগ্রীও রয়েছে। দ্রুত এনিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সামগ্রীগুলি উদ্ধার করে। কিন্তু একেবারে কলকাতার বুকে কীভাবে বন্ধ ঘরে গ্রেনেড জাতীয় সামগ্রী এল? ২১শে জুলাইয়ের আগে এই ধরনের সামগ্রী উদ্ধারের জেরে কোনও ঝুঁকি নেয়নি পুলিশ।
স্বাস্থ্য় দফতরের দীর্ঘদিনের কর্মীদের একাংশের মতে, বহুদিন ধরে ঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। বিল্ডিংটিও অনেকদিনের পুরানো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওই ঘরে কোনওভাবে এই ধরনের সামগ্রী মজুত করা হতে পারে। পরে আর সেগুলি সরানো হয়নি। তবে এতদিনে বড় কোনও বিপর্যয় হয়নি এটাই সৌভাগ্যের। তবে পুলিশ এগুলি পরীক্ষা করে দেখছে। এগুলি কতদিনের পুরানো সেটাও দেখা হচ্ছে। বোম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরা সেগুলি সরিয়ে নিয়ে যান।
কিন্তু বাগবাজারের মতো জায়গায় কীভাবে এই গ্রেনেড জাতীয় বস্তু এল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। এব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেবে কলকাতা পুলিশ।