মারবার্গের আক্রমণে চেহারা হয় ‘ভূতের মতো’, অবিরত রক্তক্ষরণ, শেষে মৃত্যু

মারবার্গের আক্রমণে চেহারা হয় ‘ভূতের মতো’, অবিরত রক্তক্ষরণ, শেষে মৃত্যু

নয়াদিল্লি : এর আগেও যে অঞ্চলেই এই রোগ হানা দিয়েছে, একেবারে মড়ক লেগে গিয়েছে। তাই এবারের সংক্রমণকেও খাটো করে দেখছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অতি সম্প্রতি ঘানায় হান দিয়েছে মারণ ভাইরাস মারবার্গ ( Marburg virus ) । ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আর এই রোগীদের সংস্পর্শে আসা মানেই খারাপ পরিণতি। জানা গিয়েছে এই রোগ মূলত বাদুড় বাহিত। তবে পরে তা এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায়।

এই রোগের লক্ষণ কী ?

জানা গিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, প্রথমে হয় –

    • জ্বর
    • প্রচণ্ড মাথাব্যথা
    • পেশী ব্যথা
    • ডায়রিয়া
    • পেট ব্যথা
    • বমি বমি ভাব
    • বমি

WHO জানিয়েছে, এই পর্যায়ে রোগীদের চেহারা ‘ভূতের মতো’ লাগে, যেমনটা আঁকায় কল্পনা করা হয়, হাড়কঙ্কালসার চেগারা।  কোটরে ঢুকে যাওয়া চোখ, অভিব্যক্তিহীন মুখ এবং চরম দুর্বলতা হতে পারে।’

শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং প্রথম অসুস্থ হওয়ার আট থেকে নয় দিন পর মারা যেতে পারে রোগী।  কারণ রক্তক্ষরণ ঘটে।

WHO বলে, গড়ে, ভাইরাসটি আক্রান্তদের অর্ধেককে মেরে ফেলে, কিন্তু সবচেয়ে ক্ষতিকর স্ট্রেন ৮৮% পর্যন্ত সংক্রমিতকে মোরে ফেলে।

মারবার্গ ভাইরাস রোগ প্রথম ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ এবং ফ্রাঙ্কফুর্টে (Marburg and Frankfurt) ছড়িয়ে ছিল। তারপর তা ছড়ায় সার্বিয়ার বেলগ্রেডে। মারবার্গ এবং ইবোলা ভাইরাস উভয়ই Filoviridae family (filovirus) র। উভয় রোগই বিরল এবং মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশি। সে-সময় কয়েকজনের মৃত্যু হয়। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর দেওয়া  তথ্য অনুসারে,  তখন ৩১ জনের মতো অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষাগারের কর্মীরা অসুস্থ হয়ে ছিলেন। এর পরে, তাদের যত্ন নেওয়ার সময় সংস্পর্শে এসে আরও কয়েকজন চিকিত্সা কর্মী এবং পরিবারের সদস্যরাও অসুস্থ হন। এর থেকে সাতজনের মৃত্যুও হয় বলে জানা যায়।