#কলম্বো: দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেই আজ, বুধবার নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। গোটাবায়া রাজাপক্ষ পদত্যাগ করার পর রনিল বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নির্বাচনের সরকারি ফলাফলে দেখা গিয়েছে বিক্রমাসিংহে ১৩৪ টি ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুল্লাস আলাহাপেরুমা পেয়েছেন ৮২ এবং বামপন্থী ফ্রন্টের অনুরা দিসানায়েক পেয়েছেন মাত্র তিনটি ভোট। ছয় বারের প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহেকে সমর্থন জুগিয়েছেন রাজাপক্ষের SLPP। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দলই, মোট সদস্য ২২৫।
যদিও ৭৩ বছর বয়সী নয়া রাষ্ট্রপতিকেও ঘৃণাই করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্রমাসিংহেকে রাজাপক্ষের মিত্র হিসাবেই দেখেন জনগণ এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর পদত্যাগও দাবি করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। মিত্রশক্তির বিশ্বাস, বিক্রমাসিংহে এই প্রতিবাদ কঠোরভাবেই দমন করবেন।
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে, দেশে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছেন বিক্রমাসিংহে। অর্থাৎ পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতেই রয়েছে ব্যাপক ক্ষমতা। বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবনে ঢোকার পর এই ঘটনা ঘটে।
ভোটের আগে, একজন বিরোধী সাংসদ জানান, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বিক্রমাসিংহের কট্টরপন্থী অবস্থান এমন সাংসদের পক্ষেই নেওয়া হয়েছে যাঁরা এই বিক্ষোভের হিংসার শিকার হয়েছেন। তামিল সাংসদ ধর্মলিঙ্গম সিথাদথান সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, “রনিল আইনশৃঙ্খলার প্রার্থী হিসেবেই আবির্ভূত হয়েছেন।”
বিক্রমাসিংহের প্রধান প্রতিপক্ষ, SLPP-বিরোধী এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দুল্লাস আলাহাপেরুমাকে বিরোধীরা সমর্থন করেছিল। বিরোধী দলের নেতা সজিথ প্রেমাদাসা আলাহাপেরুমার পক্ষে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়া থেকে সরে এসেছিলেন।